, শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনেই জাতির মুক্তি –মাওলানা আবদুল জব্বার এডভোকেট আবুল কালাম শাহীন বরিশাল রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি নির্বাচিত! ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের শুভেচ্ছা বরিশালে তাৎক্ষণিক রাস্তা মেরামতঃ প্রশংসা কুড়ালেন দুই সাংবাদিক বিএনপির রাজনীতি: আদর্শ নয়, এখন পীরতন্ত্রই বাস্তবতা চাঁদার টাকায় পড়ালেখা, এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত!— হতবাক এলাকাবাসী এতিম ভাতিজিদের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ছোট চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ইমপিরিয়াল হাসপাতালের সামনে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ এক নারী, এখনো উদ্ধার সম্ভব হয়নি চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ও ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন! বরিশালে চাঁদা দাবির অভিযোগে অভিযুক্ত নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা! রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে বানারীপাড়া -উজিরপুর বিএনপির আনন্দ ও মিষ্টি বিতরণে তোলপাড়
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

চাঁদার টাকায় পড়ালেখা, এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত!— হতবাক এলাকাবাসী

  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • ৪০ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।।এক সময় এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে যার পড়াশোনার খরচ জোগাতো, সেই রিয়াদ এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন, এমন দৃশ্য দেখে হতবাক নবীপুর ইউনিয়নের এলাকাবাসী।

রাজধানীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ মূলত নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ব্যাপারী বাড়ির বাসিন্দা। তার বাবা আবু রায়হান একজন রিকশাচালক। রিয়াদ ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিল। গরিব ঘরের সন্তান হওয়ায় স্থানীয়দের দান ও চাঁদার টাকায় চলত তার পড়ালেখা।

২০২১ সালে কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট মুজিব কলেজে ভর্তি হন রিয়াদ। এলাকাবাসীর সহযোগিতা তখনও অব্যাহত ছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে তার আচরণ, চলাফেরা এবং গ্রামে বাড়ি নির্মাণের ধরন দেখে বিস্মিত হন সকলে।

রিয়াদের চাচা মো. জসিম উদ্দিন জানান, কয়েক মাস আগে হঠাৎ করেই রিয়াদ একটি পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এর আগে পরিবারটি একটি ভাঙাচোরা টিনের ঘরে বসবাস করত।

স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন, “রিয়াদ আমাদের স্কুলের একজন মেধাবী ছাত্র ছিল। সবাই মিলেই তাকে সহায়তা করতাম। আজ তার নাম চাঁদাবাজির মামলায় শুনে সত্যিই কষ্ট হচ্ছে।”

রিয়াদের বোনের দাবি!
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান পরিবেশ। রিয়াদের বাবা-মা হাসপাতালে বলে জানান পরিবারের লোকজন। সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানালেও পরে নির্মাণাধীন ঘরের সামনে এসে কথা বলেন রিয়াদের বড় বোন তাসলিমা আক্তার আরজু।

তিনি বলেন, “আমার ভাই যদি অপরাধ করে থাকে, তার বিচার হবে। তবে ঘর তোলার অর্থ নিয়ে যেভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাতে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। বন্যায় ঘর ভেঙে যাওয়ার পর গ্রামবাসী ও আত্মীয়দের সহায়তায় ঘরের কাজ শুরু করি। এখনও দোকানে অনেক বাকি রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার বোনের স্বামী রাজমিস্ত্রি। তিনিই কোনো টাকা না নিয়েই লোকজনসহ কাজ করছেন। আমাদের অন্য ভাইও ঢাকায় চাকরি করেন। আর বাবাও এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। এসব দিয়েই ঘরের কাজ কিছুটা এগিয়েছে।”

এদিকে এলাকার মানুষ বলছেন, একটি সময় সবাই মিলে যার পাশে দাঁড়িয়েছিল, আজ তাকেই চাঁদাবাজির অভিযোগে দেখে কষ্ট হচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে,চাঁদার টাকায় শিক্ষিত হওয়া কি শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজ হওয়ার পথেই নিয়ে যায়?

কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনেই জাতির মুক্তি –মাওলানা আবদুল জব্বার

চাঁদার টাকায় পড়ালেখা, এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত!— হতবাক এলাকাবাসী

প্রকাশের সময় : ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।।এক সময় এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে যার পড়াশোনার খরচ জোগাতো, সেই রিয়াদ এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন, এমন দৃশ্য দেখে হতবাক নবীপুর ইউনিয়নের এলাকাবাসী।

রাজধানীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ মূলত নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ব্যাপারী বাড়ির বাসিন্দা। তার বাবা আবু রায়হান একজন রিকশাচালক। রিয়াদ ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিল। গরিব ঘরের সন্তান হওয়ায় স্থানীয়দের দান ও চাঁদার টাকায় চলত তার পড়ালেখা।

২০২১ সালে কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট মুজিব কলেজে ভর্তি হন রিয়াদ। এলাকাবাসীর সহযোগিতা তখনও অব্যাহত ছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে তার আচরণ, চলাফেরা এবং গ্রামে বাড়ি নির্মাণের ধরন দেখে বিস্মিত হন সকলে।

রিয়াদের চাচা মো. জসিম উদ্দিন জানান, কয়েক মাস আগে হঠাৎ করেই রিয়াদ একটি পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এর আগে পরিবারটি একটি ভাঙাচোরা টিনের ঘরে বসবাস করত।

স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন, “রিয়াদ আমাদের স্কুলের একজন মেধাবী ছাত্র ছিল। সবাই মিলেই তাকে সহায়তা করতাম। আজ তার নাম চাঁদাবাজির মামলায় শুনে সত্যিই কষ্ট হচ্ছে।”

রিয়াদের বোনের দাবি!
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান পরিবেশ। রিয়াদের বাবা-মা হাসপাতালে বলে জানান পরিবারের লোকজন। সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানালেও পরে নির্মাণাধীন ঘরের সামনে এসে কথা বলেন রিয়াদের বড় বোন তাসলিমা আক্তার আরজু।

তিনি বলেন, “আমার ভাই যদি অপরাধ করে থাকে, তার বিচার হবে। তবে ঘর তোলার অর্থ নিয়ে যেভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাতে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। বন্যায় ঘর ভেঙে যাওয়ার পর গ্রামবাসী ও আত্মীয়দের সহায়তায় ঘরের কাজ শুরু করি। এখনও দোকানে অনেক বাকি রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার বোনের স্বামী রাজমিস্ত্রি। তিনিই কোনো টাকা না নিয়েই লোকজনসহ কাজ করছেন। আমাদের অন্য ভাইও ঢাকায় চাকরি করেন। আর বাবাও এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। এসব দিয়েই ঘরের কাজ কিছুটা এগিয়েছে।”

এদিকে এলাকার মানুষ বলছেন, একটি সময় সবাই মিলে যার পাশে দাঁড়িয়েছিল, আজ তাকেই চাঁদাবাজির অভিযোগে দেখে কষ্ট হচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে,চাঁদার টাকায় শিক্ষিত হওয়া কি শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজ হওয়ার পথেই নিয়ে যায়?