বরিশাল প্রতিনিধি।। বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপো যেন এখন “চোঙ্গি কর্পোরেশন লিমিটেড”! অভিযোগ উঠেছে,প্রতিটি ট্রিপে কন্ডাক্টর ও চালকদের কাছ থেকে গোপনে চাঁদা আদায় হচ্ছে। হিসাব মেলালে মাসে উঠছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা!
সূত্র জানায়,চোঙ্গির” ভাগ শুধু বরিশালেই আটকে নেই, ঢাকার হেড অফিস পর্যন্ত যাচ্ছে।
ডিপো সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার জুলফিকার আলী, যিনি একসময় বিআরটিসিতে এটিও পদে ছিলেন, এখন ম্যানেজার (অপারেশন) হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করছেন বরিশাল বাস ডিপো। তার অফিসে এখন চোঙ্গির নতুন সংজ্ঞা,চাঁদা না দিলে বদলি”!
একাধিক কন্ডাক্টর ও চালক অভিযোগ করেছেন, জুলফিকার যোগদানের পরদিন থেকেই ঘোষণা এসেছে.. প্রতি ট্রিপে হাজার-দেড় হাজার টাকা দিতে হবে। না দিলে ট্রিপ থাকবে না, চাকরিও যাবে!”তাদের ভাষায়, এটা যেন এক ধরনের “চোঙ্গি সন্ত্রাস”, যেখানে সরকারি চাকরির গাড়ি চালিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের চাঁদা দিতে হয়।
হিসাবের খাতা খুললেই চমক…
বরিশাল-ঢাকা-কুয়াকাটাসহ ৩৭টি রুটে চলাচল করছে ৫১টি বাস। প্রতিটি ট্রিপে ১,০০০-২,০০০ টাকা করে “চোঙ্গি” উঠলে মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা যায় অজানা গন্তব্যে। এর পাশাপাশি হিসাব শাখা অফিস খরচের নামেও প্রতি সেলে ১০০ টাকা করে রাখছে। ফোরম্যানের ভাগও নাকি নির্ধারিত,প্রতি ট্রিপে ১০০ টাকা!
পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি…
সূত্র মতে, ২০১১ সালে আওয়ামী সরকারের সময় জুলফিকার বিআরটিসিতে নিয়োগ পান এবং ২০১৬ সালে বরিশাল ডিপোতেও ছিলেন। তখনও ট্রিপপ্রতি টাকা তোলার অভিযোগে ঢাকায় বদলি হয়েছিলেন তিনি।
চালক ও কন্ডাক্টররা বলেন…
ফ্যাসিস্ট আমলে আমাদের পিঠের চামড়া তুলে নিয়েছিল বিআরটিসির কর্মকর্তারা। সরকার বদলেছে, কিন্তু জুলুম কমেনি। এখন আবার সেই পুরোনো চোঙ্গি খেলা শুরু হয়েছে।”
জবাবে ম্যানেজার ও চেয়ারম্যান বলেন…
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজার মো. জুলফিকার আলী বলেন, চোঙ্গি বা চাঁদার কোনো ব্যাপার নেই। এসব মিথ্যা কথা।”
অন্যদিকে বিআরটিসি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ মোল্লা (অতিরিক্ত সচিব) জানান,প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বরিশাল ডিপো এখন যেন ‘চোঙ্গি জোন’।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, সরকারি সংস্থার অভ্যন্তরে যদি চাঁদার রাজনীতি চলে, তবে যাত্রী সেবার নামে এই কর্পোরেশন কার স্বার্থে চলছে?










