, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বরিশালে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ ৩৫ সংগঠন বরিশাল বিআরটিসি- সরকারি বাস নয়, যেন লোহার ব্যবসায়ীদের আড্ডাখানা! রাতের আঁধারে ‘গোপন নথি’ ফাঁস, সকালে ভাইরাল! গোপনীয়তা গেল গাছে’- ববির পিএসের হাতে প্রশাসনের মর্যাদা ধুলায়! মিরপুর বিটিসিএলে ‘গিরগিটি ফেরদৌস’-দিনে আওয়ামী লীগ, রাতে বিএনপি -আর অফিসে কমিশনের রাজত্ব!” বরিশাল মডেল স্কুলে ‘কোচিং স্যার’ তৃষানের রাজত্ব! শিক্ষা নয়, চলছে চাঁদাবাজির ক্লাস-যে পড়বে না, সে ফেল! বরিশাল বিআরটিসিতে ‘চোঙ্গির রাজত্ব’-মাসে ১৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজি! বরিশালে ৫০ বছর পর পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী মাতার মন্দির দুই মালিকের এক দাস- বরিশালের প্রকৌশলী জাকারিয়ার চমকপ্রদ রূপকথা! বিআরটিএ এখন ‘রুহুল আমিন কর্পোরেশন’! মিরপুর অফিসে দালালদের ছায়া সরকার, কোটি টাকার খেলায় রাষ্ট্র নির্বাক! বরিশালের “বীরপুরুষ” হাসানাত-দুদকের জালে এবার “অপরাজিত” নেতা!
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

আগুনে পোড়া বাংলাদেশ-উন্নয়নের আগুনে দগ্ধ মানুষ!

  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৭ পড়া হয়েছে

২০২৫ সালের অক্টোবর, বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের আগুনে দেশ জ্বলছে, একের পর এক “দুর্ঘটনা”য় নয়, বরং পরিকল্পিত অবহেলায়। মিরপুর থেকে চট্টগ্রাম, বিমানবন্দর পর্যন্ত,সবখানেই আগুন, আর সরকার বলে, তদন্ত চলছে। এই তদন্ত শব্দটাই এখন জাতীয় কৌতুকের প্রতীক।

মিরপুরের আগুন-দরজা বন্ধ, মুখ বন্ধ, রাষ্ট্রও বন্ধ…

১৪ অক্টোবরের মিরপুরে গার্মেন্টস ভবনে আগুনে পুড়ল মানুষ, কিন্তু প্রশ্ন হলো-দরজা কেন বন্ধ ছিল? মজার বিষয়, এখানে “ফায়ার সেফটি” ছিল, ঠিক যেমন “গণতন্ত্র” আছে-কাগজে। ধোঁয়া ছড়িয়ে গেল, মানুষ মরল, কিন্তু লাইসেন্সধারী মালিক সাহেব এখনো ফাইভ স্টার হোটেলে চা খাচ্ছেন, কারণ উনি “রপ্তানি বীর”।

চট্টগ্রাম ইপিজেডের আগুন-কালো ধোঁয়ার নিচে সাদা দুর্নীতি…

১৬ অক্টোবর ইপিজেডে আগুন লেগে কিলোমিটারজুড়ে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে,আর প্রশাসন তখন “ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে” ব্যস্ত! কারখানার ভেতরে দাহ্য রাসায়নিক মজুদ ছিল,অনুমতি ছাড়া। কিন্তু কে দেবে অনুমতি?যে দপ্তর টাকা নিয়ে আগেই নিরাপত্তা সার্টিফিকেট” দিয়ে দিয়েছে, তারা এখন আগুন নেভানোর নাটকে অংশ নিচ্ছে।

বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজে আগুন-আকাশ থেকে নেমে এল উদাসীনতা…

১৮ অক্টোবরের বিমানবন্দর আগুনে আন্তর্জাতিক শিপমেন্ট বন্ধ, বিমানবাহিনী–নৌবাহিনী–দমকল সবাই মাঠে।কিন্তু প্রশ্নটা এখন আগুনের নয়, আগুনের আগের,কার্গো এলাকায় দাহ্য মালামাল কীভাবে গুদামজাত হলো? উত্তর,দেখা হয়নি। এই “দেখা হয়নি”এখন বাংলাদেশ প্রশাসনের ব্র্যান্ড স্লোগান হতে পারে।

এই আগুন কার?

নাশকতা নয়, কিন্তু পরিকল্পিত অবহেলা নিশ্চিত। কারণ যেখানে ফায়ার অ্যালার্ম বাজে না, দরজা খোলে না, লাইসেন্স হয় ঘুষে, আর পরিদর্শক হয় ঘুমে, সেখানে দুর্ঘটনা নয়, এটা এক প্রকার রাষ্ট্রীয় আত্মহত্যা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা নিছক দুর্ভাগ্য নয়, এটা দপ্তরীয় দুর্নীতির উন্নয়ন মডেল ।এখানে আগুন লাগে, মানুষ মরে, তারপর কমিটি গঠিত হয়, রিপোর্ট দেয়, আর রিপোর্টের আগুনেই পুড়ে যায় দায়বদ্ধতা।

উন্নয়নের ছাইগাথা

বাংলাদেশে আগুন এখন শুধু কারখানায় নয়,
আগুন এখন নীতিতে, ব্যবস্থায়, আর বিবেকে।
এখানে ভবন পোড়ে, মানুষ পোড়ে, কিন্তু লাইসেন্স টিকে যায়, মালিক বেঁচে যায়, আর তদন্ত কমিটি,নতুন অফিস টেবিল পায়।

রাষ্ট্র বলবে, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
হ্যাঁ,নেয়,ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ফুল হাতে।
এ যেন এক উন্নত সংস্কৃতি,মানুষ পোড়লে প্রেস ব্রিফিং হয়, আর কারখানা পোড়লে মালিকের বোনাস বাড়ে।

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের আগুনে জ্বলছে,
যেখানে অর্থনীতি ধোঁয়ার মাঝে বেঁচে আছে,
কিন্তু মানুষ,ছাই হয়ে যাচ্ছে।
এটাই হয়তো নতুন স্লোগান:
আগুন জ্বালো, উন্নয়ন বাড়াও!

বরিশালে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ ৩৫ সংগঠন

আগুনে পোড়া বাংলাদেশ-উন্নয়নের আগুনে দগ্ধ মানুষ!

প্রকাশের সময় : ০১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

২০২৫ সালের অক্টোবর, বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের আগুনে দেশ জ্বলছে, একের পর এক “দুর্ঘটনা”য় নয়, বরং পরিকল্পিত অবহেলায়। মিরপুর থেকে চট্টগ্রাম, বিমানবন্দর পর্যন্ত,সবখানেই আগুন, আর সরকার বলে, তদন্ত চলছে। এই তদন্ত শব্দটাই এখন জাতীয় কৌতুকের প্রতীক।

মিরপুরের আগুন-দরজা বন্ধ, মুখ বন্ধ, রাষ্ট্রও বন্ধ…

১৪ অক্টোবরের মিরপুরে গার্মেন্টস ভবনে আগুনে পুড়ল মানুষ, কিন্তু প্রশ্ন হলো-দরজা কেন বন্ধ ছিল? মজার বিষয়, এখানে “ফায়ার সেফটি” ছিল, ঠিক যেমন “গণতন্ত্র” আছে-কাগজে। ধোঁয়া ছড়িয়ে গেল, মানুষ মরল, কিন্তু লাইসেন্সধারী মালিক সাহেব এখনো ফাইভ স্টার হোটেলে চা খাচ্ছেন, কারণ উনি “রপ্তানি বীর”।

চট্টগ্রাম ইপিজেডের আগুন-কালো ধোঁয়ার নিচে সাদা দুর্নীতি…

১৬ অক্টোবর ইপিজেডে আগুন লেগে কিলোমিটারজুড়ে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে,আর প্রশাসন তখন “ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে” ব্যস্ত! কারখানার ভেতরে দাহ্য রাসায়নিক মজুদ ছিল,অনুমতি ছাড়া। কিন্তু কে দেবে অনুমতি?যে দপ্তর টাকা নিয়ে আগেই নিরাপত্তা সার্টিফিকেট” দিয়ে দিয়েছে, তারা এখন আগুন নেভানোর নাটকে অংশ নিচ্ছে।

বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজে আগুন-আকাশ থেকে নেমে এল উদাসীনতা…

১৮ অক্টোবরের বিমানবন্দর আগুনে আন্তর্জাতিক শিপমেন্ট বন্ধ, বিমানবাহিনী–নৌবাহিনী–দমকল সবাই মাঠে।কিন্তু প্রশ্নটা এখন আগুনের নয়, আগুনের আগের,কার্গো এলাকায় দাহ্য মালামাল কীভাবে গুদামজাত হলো? উত্তর,দেখা হয়নি। এই “দেখা হয়নি”এখন বাংলাদেশ প্রশাসনের ব্র্যান্ড স্লোগান হতে পারে।

এই আগুন কার?

নাশকতা নয়, কিন্তু পরিকল্পিত অবহেলা নিশ্চিত। কারণ যেখানে ফায়ার অ্যালার্ম বাজে না, দরজা খোলে না, লাইসেন্স হয় ঘুষে, আর পরিদর্শক হয় ঘুমে, সেখানে দুর্ঘটনা নয়, এটা এক প্রকার রাষ্ট্রীয় আত্মহত্যা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা নিছক দুর্ভাগ্য নয়, এটা দপ্তরীয় দুর্নীতির উন্নয়ন মডেল ।এখানে আগুন লাগে, মানুষ মরে, তারপর কমিটি গঠিত হয়, রিপোর্ট দেয়, আর রিপোর্টের আগুনেই পুড়ে যায় দায়বদ্ধতা।

উন্নয়নের ছাইগাথা

বাংলাদেশে আগুন এখন শুধু কারখানায় নয়,
আগুন এখন নীতিতে, ব্যবস্থায়, আর বিবেকে।
এখানে ভবন পোড়ে, মানুষ পোড়ে, কিন্তু লাইসেন্স টিকে যায়, মালিক বেঁচে যায়, আর তদন্ত কমিটি,নতুন অফিস টেবিল পায়।

রাষ্ট্র বলবে, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
হ্যাঁ,নেয়,ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ফুল হাতে।
এ যেন এক উন্নত সংস্কৃতি,মানুষ পোড়লে প্রেস ব্রিফিং হয়, আর কারখানা পোড়লে মালিকের বোনাস বাড়ে।

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের আগুনে জ্বলছে,
যেখানে অর্থনীতি ধোঁয়ার মাঝে বেঁচে আছে,
কিন্তু মানুষ,ছাই হয়ে যাচ্ছে।
এটাই হয়তো নতুন স্লোগান:
আগুন জ্বালো, উন্নয়ন বাড়াও!