নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশালের গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (জিইউবি) এখন টিকে থাকার লড়াই করছে। অথচ শিক্ষার্থীর ঘামঝরা টাকায় গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেউলিয়া বানিয়ে কলকাতায় রাজকীয় জীবন কাটাচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও তার পরিবার। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে দুর্নীতি, টাকা পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ভয়াবহ কাহিনি।
এফডিআর ভাঙল, ভাঙল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদণ্ড
সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট রাতারাতি দেশ ছাড়েন নানক পরিবার। যাওয়ার আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবশ্যিক ৩ কোটি টাকার এফডিআর ভেঙে নিজেদের নামে তুলে নেন। ইউজিসির নিয়মে এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকে থাকার জন্য সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক হলেও, সেটি এখন কলকাতার রাজপথে ভেসে বেড়াচ্ছে।
ঋণ তাদের নামে, বোঝা শিক্ষার্থীর ঘাড়ে
পরিবারের নামে আরও ২.৭৫ কোটি টাকার ঋণ তোলা হয়েছে। সুদ-আসলে কিস্তি মেটানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ে,অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দিয়েই চলছে নানক পরিবারের ঋণ শোধ!
হুন্ডি সিন্ডিকেটের ক্যাশিয়ার: তপন কুমার বল
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ (স্বঘোষিত অধ্যাপক) তপন কুমার বল নানক পরিবারের হাতের খেলোয়াড়। উন্নয়ন ও গবেষণা তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ। আরও জানা গেছে, তিনি পালানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রস্তুত রেখেছেন।
কলকাতা থেকে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়!
স্বচ্ছতার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এ কে এম এনায়েত হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর মজার ব্যাপার হলো,বরখাস্তের আদেশ এসেছে সরাসরি কলকাতা থেকে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশের বাইরে!
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী, আসলে নানকের খামারের চাকর
বরিশালে নানক পরিবারের বাড়ি ও খামারবাড়ির পাহারায় ব্যবহৃত হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। অথচ তাদের বেতনও দেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে। শিক্ষার্থীর টাকায় শিক্ষার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ব্যক্তিগত সম্পত্তি পাহারা।