, শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনেই জাতির মুক্তি –মাওলানা আবদুল জব্বার এডভোকেট আবুল কালাম শাহীন বরিশাল রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি নির্বাচিত! ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের শুভেচ্ছা বরিশালে তাৎক্ষণিক রাস্তা মেরামতঃ প্রশংসা কুড়ালেন দুই সাংবাদিক বিএনপির রাজনীতি: আদর্শ নয়, এখন পীরতন্ত্রই বাস্তবতা চাঁদার টাকায় পড়ালেখা, এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত!— হতবাক এলাকাবাসী এতিম ভাতিজিদের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ছোট চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ইমপিরিয়াল হাসপাতালের সামনে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ এক নারী, এখনো উদ্ধার সম্ভব হয়নি চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ও ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন! বরিশালে চাঁদা দাবির অভিযোগে অভিযুক্ত নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা! রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে বানারীপাড়া -উজিরপুর বিএনপির আনন্দ ও মিষ্টি বিতরণে তোলপাড়
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

খাগড়াছড়িতে রাক্ষুসে সাংবাদিকতার কীর্তি

  • প্রকাশের সময় : ১১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • ১৩২ পড়া হয়েছে

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।চাঁদাবাজি মামলা দায়েরকারী বাদী আলমগীরের ইটভাটা গত জানুয়ারি মাসেই যেহেতু সরকারি অভিযানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে- সেখানে চাঁদা দাবির সুযোগ থাকে কি?

খাগড়াছড়িতে চার সংবাদকর্মীকে মিথ্যা সাজানো চাঁদাবাজি মামলায় জেলে ঢোকানোর নেপথ্য কাহিনি ফাঁস হয়েছে। সেখানে অবৈধ ইটভাটা মালিকের অনুরোধে সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছেন, সৃষ্টি হয়েছে জঘন্যতার। ওই সাংবাদিকদের উপর তিনি প্রথম ছাত্রদল কর্মীদের লেলিয়ে দেন। তারা ওই সাংবাদিকদের হেনস্তা করেন এবং তাদের আইডি কার্ড, মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেন।

এর পর পরই প্রফুল্ল বাবুর পাঠানো পুলিশ সেখানে পৌঁছে সাংবাদিকদের আইডি কার্ড দেখতে চান। কিন্তু পূর্ব মুহূর্তেই ছিনিয়ে নেয়ায় সংবাদকর্মীরা তাদের আইডি দেখাতে ব্যর্থ হলে পুলিশ প্রথমে তাদেরকে ভুয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে আটক করে। দীর্ঘ সময় দেন দরবার শেষে সাজানো হয় চাঁদাবাজির মামলা।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে দীঘিনালায় সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে পরিচালিত ফোর বি ইটভাটা থেকে। ওই ইটভাটার মালিকানায় রয়েছেন মোহনা টিভির প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন। তিনি প্রফুল্ল‘র অন্ধ ভক্ত। গত ২০ জানুয়ারি দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মামুনুর রশীদ অভিযান চালিয়ে ফোর বি ইটভাটাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং স্থায়ীভাবে ভাটাটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু প্রফুল্ল বাবুর প্রভাব খাটিয়ে আলমগীর তার ইটভাটা যথারীতি চালু রাখছিলেন।

সফররত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় সে দৃশ্য উঠে আসায় দ্রুত সেখানে হাজির হন সাংবাদিক-কাম-ভাটা মালিক আলমগীর হোসেন। তিনি অনুনয় বিনয়ের একপর্যায়ে ৫০০০ টাকা তাদের পকেটে গুঁজে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাংবাদিকরা সে টাকা না নেয়ায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে গুরু এইচ এম প্রফুল্ল‘র সাহায্য চান। বাকিটা ঘটেছে তার রাক্ষুসে সাংবাদিকতার কীর্তিতে….

মামলার এজাহারে আলমগীর বলেছেন, তার ইটভাটায় গিয়ে এ চার সাংবাদিক দুই লাখ টাকা দাবি করলে তিনি এক লাখ দিতে রাজি হন। তা মশায়, আপনার ইটভাটার নামটা কি? আপনার ভাটা তো দুই মাস আগেই অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেটি কার নির্দেশে চালু করেছেন?

চাঁদাবাজি মামলা দায়েরকারী বাদী আলমগীরের ইটভাটা গত জানুয়ারি মাসেই যেহেতু সরকারি অভিযানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে- সেখানে চাঁদা দাবির সুযোগ থাকে কি? নিউজটি লেখার আগে খাগড়াছড়ির সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুদের মনে একবারও সে প্রশ্নটি উদয় হয়নি?

কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনেই জাতির মুক্তি –মাওলানা আবদুল জব্বার

খাগড়াছড়িতে রাক্ষুসে সাংবাদিকতার কীর্তি

প্রকাশের সময় : ১১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।চাঁদাবাজি মামলা দায়েরকারী বাদী আলমগীরের ইটভাটা গত জানুয়ারি মাসেই যেহেতু সরকারি অভিযানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে- সেখানে চাঁদা দাবির সুযোগ থাকে কি?

খাগড়াছড়িতে চার সংবাদকর্মীকে মিথ্যা সাজানো চাঁদাবাজি মামলায় জেলে ঢোকানোর নেপথ্য কাহিনি ফাঁস হয়েছে। সেখানে অবৈধ ইটভাটা মালিকের অনুরোধে সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছেন, সৃষ্টি হয়েছে জঘন্যতার। ওই সাংবাদিকদের উপর তিনি প্রথম ছাত্রদল কর্মীদের লেলিয়ে দেন। তারা ওই সাংবাদিকদের হেনস্তা করেন এবং তাদের আইডি কার্ড, মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেন।

এর পর পরই প্রফুল্ল বাবুর পাঠানো পুলিশ সেখানে পৌঁছে সাংবাদিকদের আইডি কার্ড দেখতে চান। কিন্তু পূর্ব মুহূর্তেই ছিনিয়ে নেয়ায় সংবাদকর্মীরা তাদের আইডি দেখাতে ব্যর্থ হলে পুলিশ প্রথমে তাদেরকে ভুয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে আটক করে। দীর্ঘ সময় দেন দরবার শেষে সাজানো হয় চাঁদাবাজির মামলা।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে দীঘিনালায় সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে পরিচালিত ফোর বি ইটভাটা থেকে। ওই ইটভাটার মালিকানায় রয়েছেন মোহনা টিভির প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন। তিনি প্রফুল্ল‘র অন্ধ ভক্ত। গত ২০ জানুয়ারি দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মামুনুর রশীদ অভিযান চালিয়ে ফোর বি ইটভাটাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং স্থায়ীভাবে ভাটাটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু প্রফুল্ল বাবুর প্রভাব খাটিয়ে আলমগীর তার ইটভাটা যথারীতি চালু রাখছিলেন।

সফররত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় সে দৃশ্য উঠে আসায় দ্রুত সেখানে হাজির হন সাংবাদিক-কাম-ভাটা মালিক আলমগীর হোসেন। তিনি অনুনয় বিনয়ের একপর্যায়ে ৫০০০ টাকা তাদের পকেটে গুঁজে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাংবাদিকরা সে টাকা না নেয়ায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে গুরু এইচ এম প্রফুল্ল‘র সাহায্য চান। বাকিটা ঘটেছে তার রাক্ষুসে সাংবাদিকতার কীর্তিতে….

মামলার এজাহারে আলমগীর বলেছেন, তার ইটভাটায় গিয়ে এ চার সাংবাদিক দুই লাখ টাকা দাবি করলে তিনি এক লাখ দিতে রাজি হন। তা মশায়, আপনার ইটভাটার নামটা কি? আপনার ভাটা তো দুই মাস আগেই অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেটি কার নির্দেশে চালু করেছেন?

চাঁদাবাজি মামলা দায়েরকারী বাদী আলমগীরের ইটভাটা গত জানুয়ারি মাসেই যেহেতু সরকারি অভিযানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে- সেখানে চাঁদা দাবির সুযোগ থাকে কি? নিউজটি লেখার আগে খাগড়াছড়ির সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুদের মনে একবারও সে প্রশ্নটি উদয় হয়নি?