স্টাফ রিপোর্টার!!বিনা অপরাধে প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা ডিবির হেফাজতে রাখার পর তাকে “স্বসম্মানে” বাসায় পৌঁছে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,এমন অভিযোগ তুলেছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের সংগঠন এমবিসিবির এক মিডিয়া পরামর্শক। ঘটনার পর বুধবার রাতে তিনি সামাজিক মাধ্যমে বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
সাংবাদিকের দাবী, গত রাত ১২টার দিকে “ডিবি প্রধান কথা বলবেন-এই অজুহাতে ৫-৬ জন ডিবি সদস্য তার বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আসে। ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে আসামির খাতায় নাম লিখে গারদে সাধারণ আসামিদের সঙ্গে রাখা হয়।
অভিযোগে তিনি জানান, আটকের কারণ সম্পর্কে কেউই স্পষ্ট কোনো জবাব দিতে পারেননি। দীর্ঘ সময় পর তিনি ধারণা পান যে সরকারের একজন উপদেষ্টার ইঙ্গিতে মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসার মনোপলি বাণিজ্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে ঘিরেই তাকে আটক করা হয়েছে।
প্রেস কনফারেন্স ঠেকাতেই অভিযান,এমনটাই দাবি…
বুধবার ডিআরইউতে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) নিয়ে এমবিসিবির আয়োজন করা প্রেস কনফারেন্সে তিনি ছিলেন মিডিয়া পরামর্শক।তার অভিযোগ,প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করাই ছিল ডিবির মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, এনইআইআর দেশে মুক্ত বাণিজ্যনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এই প্রকল্প চালু হলে সারাদেশের ২৫ হাজার মোবাইল ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, অথচ সুবিধা পাবেন মাত্র ৯ জন ব্যবসায়ী,যাদের একজন নাকি সরকারের একজন উপদেষ্টার স্কুল-বন্ধু।
একই ঘটনায় আরেকজন এখনও ডিবিতে
সাংবাদিকের সঙ্গে সংগঠনের সেক্রেটারি আবু সাঈদ পিয়াসকেও আটক করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তিনি এখনও ডিবি কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।বাকস্বাধীনতার নামে বাকরুদ্ধ করার চেষ্টাই হয়েছে
ভুক্তভোগী সাংবাদিক প্রশ্ন তোলেন,,একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিপক্ষে কথা বললেই সরকার এত ভয় পায় কেন? প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতেই কি গভীর রাতে জোর করে আটক করতে হয়?
তিনি আরও বলেন, আটকের খবর জানাজানি হতেই সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া তৈরির কারণেই তিনি দ্রুত মুক্তি পেয়েছেন বলে বিশ্বাস করেন।
প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা…
এ বিষয়ে ডিবির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক ঘটনাটিকে ‘মুক্ত বাণিজ্য ও বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
