, শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনেই জাতির মুক্তি –মাওলানা আবদুল জব্বার এডভোকেট আবুল কালাম শাহীন বরিশাল রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি নির্বাচিত! ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের শুভেচ্ছা বরিশালে তাৎক্ষণিক রাস্তা মেরামতঃ প্রশংসা কুড়ালেন দুই সাংবাদিক বিএনপির রাজনীতি: আদর্শ নয়, এখন পীরতন্ত্রই বাস্তবতা চাঁদার টাকায় পড়ালেখা, এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত!— হতবাক এলাকাবাসী এতিম ভাতিজিদের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ছোট চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ইমপিরিয়াল হাসপাতালের সামনে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ এক নারী, এখনো উদ্ধার সম্ভব হয়নি চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ও ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন! বরিশালে চাঁদা দাবির অভিযোগে অভিযুক্ত নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা! রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে বানারীপাড়া -উজিরপুর বিএনপির আনন্দ ও মিষ্টি বিতরণে তোলপাড়
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

চাঁদাবাজি শারিরীক নির্যাতন, ধর্ষণ ও মাদক বাণিজ্যে অতিষ্ঠ কক্সবাজারের সুগন্ধা লাইট হাউজ এলাকার মানুষ।

  • প্রকাশের সময় : ০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১৭২ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।। সুগন্ধা লাইট হাউজ ও লাবনী পয়েন্টের হোটেল, রেস্টুরেন্ট স্পা ও ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও এই চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে আছেন লাইট হাউজের বাসিন্দা ফাহিম। গড়ে তুলেছেন ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।

স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ ও কক্সবাজার শহর ছাত্রদলের আশ্রয়ে থাকায় তাদের কেউ ঘাটাতে সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতন।

অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফাহিম বাহিনীর অনেকে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও পরিবর্তন করেছে। পানির যেমন কোনো রং নেই এদেরও তেমন কোনো দল নেই। যখন যার তখন তার। আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে থাকলেও ৫ আগস্টের পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করেছে। ফাহিমের সহযোগীরা আগে ছাত্রলীগের শহর কমিটিতে ছিল। ৫ আগস্টের পর রাতারাতি ছাত্রদল বনে গেছে। আবার অনেকে-ই সাংবাদিকতার পরিচয় ও দেয়। নানামুখী পরিচয় আর প্রশ্রয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ফাহিম বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।

জানা গেছে, এই বাহিনীর আরেক সদস্য মেহেদী হাসান। এই হাসান ২০২১ সালে কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। জামিনে বের হয়ে ফাহিমের সঙ্গে মিলেমিশে ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ মাদকের রমরমা কারবার করে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আগে আওয়ামীলীগ করতাম। এখন কোনো দলে নেই। রাসেল মেহেদী ও সিফাতসহ আমরা কয়জন বন্ধু একত্রে চলাফেরা করি। চাঁদাবাজি করি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। এর মধ্যে আছে হোটেল, রেস্তোরা-স্পা। এসব মালিকদের পাশে থাকি। কেউ ক্ষতি করতে আসলে আমরা নিরাপত্তা দিই। তারা আমাদের প্রতি সপ্তাহে একটা খরচ দেয়। বহিরাগতরা ঝামেলা করতে এলে আমরা প্রতিহত করি। এই মালিকরাও আমাদের প্রতি সপ্তাহে আমাদের চাঁদা দেয়।”

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করব। আমাদের গোয়েন্দা টিমের মাধ্যমে আমরা অনুসন্ধানে যাবো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনেই জাতির মুক্তি –মাওলানা আবদুল জব্বার

চাঁদাবাজি শারিরীক নির্যাতন, ধর্ষণ ও মাদক বাণিজ্যে অতিষ্ঠ কক্সবাজারের সুগন্ধা লাইট হাউজ এলাকার মানুষ।

প্রকাশের সময় : ০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।। সুগন্ধা লাইট হাউজ ও লাবনী পয়েন্টের হোটেল, রেস্টুরেন্ট স্পা ও ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও এই চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে আছেন লাইট হাউজের বাসিন্দা ফাহিম। গড়ে তুলেছেন ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।

স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ ও কক্সবাজার শহর ছাত্রদলের আশ্রয়ে থাকায় তাদের কেউ ঘাটাতে সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতন।

অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফাহিম বাহিনীর অনেকে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও পরিবর্তন করেছে। পানির যেমন কোনো রং নেই এদেরও তেমন কোনো দল নেই। যখন যার তখন তার। আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে থাকলেও ৫ আগস্টের পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করেছে। ফাহিমের সহযোগীরা আগে ছাত্রলীগের শহর কমিটিতে ছিল। ৫ আগস্টের পর রাতারাতি ছাত্রদল বনে গেছে। আবার অনেকে-ই সাংবাদিকতার পরিচয় ও দেয়। নানামুখী পরিচয় আর প্রশ্রয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ফাহিম বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।

জানা গেছে, এই বাহিনীর আরেক সদস্য মেহেদী হাসান। এই হাসান ২০২১ সালে কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। জামিনে বের হয়ে ফাহিমের সঙ্গে মিলেমিশে ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ মাদকের রমরমা কারবার করে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আগে আওয়ামীলীগ করতাম। এখন কোনো দলে নেই। রাসেল মেহেদী ও সিফাতসহ আমরা কয়জন বন্ধু একত্রে চলাফেরা করি। চাঁদাবাজি করি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। এর মধ্যে আছে হোটেল, রেস্তোরা-স্পা। এসব মালিকদের পাশে থাকি। কেউ ক্ষতি করতে আসলে আমরা নিরাপত্তা দিই। তারা আমাদের প্রতি সপ্তাহে একটা খরচ দেয়। বহিরাগতরা ঝামেলা করতে এলে আমরা প্রতিহত করি। এই মালিকরাও আমাদের প্রতি সপ্তাহে আমাদের চাঁদা দেয়।”

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করব। আমাদের গোয়েন্দা টিমের মাধ্যমে আমরা অনুসন্ধানে যাবো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”