, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ওসমান হাদীর উপর গুলি সার্বভৌমত্বে আঘাত! স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ কাশিমপুরে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পাগলা মাসুদের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি মামলা! শহিদুলকে টার্গেট করে ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মিথ্যাচার- কাজ না পেয়ে এখন হুমকির নাটক! বরিশালে ইসলামী শক্তির শক্তিরূপ -ক্ষমতার মসনদে আর চোর-দুর্নীতিবাজ নয়! রাতের অন্ধকারে দখলচক্রের থাবা! বায়না করা জমিতে হানা দিয়ে বালু ভরাট-থানায় তীব্র অভিযোগ! স্বাধীনতার চেতনায় বদলে যেতে প্রস্তুত ঢাকা-৭-নেতৃত্বে শাহানা সুলতানা! চাঁদাবাজ-মাদক সিন্ডিকেট ভাঙার ঘোষণা, শফিকের আগমনেই অস্থির প্রতিদ্বন্দ্বীরা! বিনা অপরাধে ডিবি হেফাজতে ১০ ঘণ্টা-প্রেস কনফারেন্স ঠেকাতেই আটক-অভিযোগ সাংবাদিকের। ডাঃ জাফরুল্লাহর গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যালসে গাজীপুর ৬ আসনের বিএনপির এমপি পদপ্রার্থীর বাবার হামলা ভাঙচুর – থানায় অভিযোগ সাংবাদিক-পেটানো মামলার আসামি মাসুম পুলিশের হাতেই ‘কামড় দিয়ে’ রাতের আঁধারে গায়েব!
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

চাঁদাবাজি শারিরীক নির্যাতন, ধর্ষণ ও মাদক বাণিজ্যে অতিষ্ঠ কক্সবাজারের সুগন্ধা লাইট হাউজ এলাকার মানুষ।

  • প্রকাশের সময় : ০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ২৪৯ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।। সুগন্ধা লাইট হাউজ ও লাবনী পয়েন্টের হোটেল, রেস্টুরেন্ট স্পা ও ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও এই চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে আছেন লাইট হাউজের বাসিন্দা ফাহিম। গড়ে তুলেছেন ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।

স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ ও কক্সবাজার শহর ছাত্রদলের আশ্রয়ে থাকায় তাদের কেউ ঘাটাতে সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতন।

অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফাহিম বাহিনীর অনেকে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও পরিবর্তন করেছে। পানির যেমন কোনো রং নেই এদেরও তেমন কোনো দল নেই। যখন যার তখন তার। আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে থাকলেও ৫ আগস্টের পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করেছে। ফাহিমের সহযোগীরা আগে ছাত্রলীগের শহর কমিটিতে ছিল। ৫ আগস্টের পর রাতারাতি ছাত্রদল বনে গেছে। আবার অনেকে-ই সাংবাদিকতার পরিচয় ও দেয়। নানামুখী পরিচয় আর প্রশ্রয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ফাহিম বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।

জানা গেছে, এই বাহিনীর আরেক সদস্য মেহেদী হাসান। এই হাসান ২০২১ সালে কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। জামিনে বের হয়ে ফাহিমের সঙ্গে মিলেমিশে ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ মাদকের রমরমা কারবার করে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আগে আওয়ামীলীগ করতাম। এখন কোনো দলে নেই। রাসেল মেহেদী ও সিফাতসহ আমরা কয়জন বন্ধু একত্রে চলাফেরা করি। চাঁদাবাজি করি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। এর মধ্যে আছে হোটেল, রেস্তোরা-স্পা। এসব মালিকদের পাশে থাকি। কেউ ক্ষতি করতে আসলে আমরা নিরাপত্তা দিই। তারা আমাদের প্রতি সপ্তাহে একটা খরচ দেয়। বহিরাগতরা ঝামেলা করতে এলে আমরা প্রতিহত করি। এই মালিকরাও আমাদের প্রতি সপ্তাহে আমাদের চাঁদা দেয়।”

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করব। আমাদের গোয়েন্দা টিমের মাধ্যমে আমরা অনুসন্ধানে যাবো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

ওসমান হাদীর উপর গুলি সার্বভৌমত্বে আঘাত! স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ

চাঁদাবাজি শারিরীক নির্যাতন, ধর্ষণ ও মাদক বাণিজ্যে অতিষ্ঠ কক্সবাজারের সুগন্ধা লাইট হাউজ এলাকার মানুষ।

প্রকাশের সময় : ০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।। সুগন্ধা লাইট হাউজ ও লাবনী পয়েন্টের হোটেল, রেস্টুরেন্ট স্পা ও ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও এই চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে আছেন লাইট হাউজের বাসিন্দা ফাহিম। গড়ে তুলেছেন ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।

স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ ও কক্সবাজার শহর ছাত্রদলের আশ্রয়ে থাকায় তাদের কেউ ঘাটাতে সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতন।

অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফাহিম বাহিনীর অনেকে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও পরিবর্তন করেছে। পানির যেমন কোনো রং নেই এদেরও তেমন কোনো দল নেই। যখন যার তখন তার। আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে থাকলেও ৫ আগস্টের পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করেছে। ফাহিমের সহযোগীরা আগে ছাত্রলীগের শহর কমিটিতে ছিল। ৫ আগস্টের পর রাতারাতি ছাত্রদল বনে গেছে। আবার অনেকে-ই সাংবাদিকতার পরিচয় ও দেয়। নানামুখী পরিচয় আর প্রশ্রয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ফাহিম বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।

জানা গেছে, এই বাহিনীর আরেক সদস্য মেহেদী হাসান। এই হাসান ২০২১ সালে কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। জামিনে বের হয়ে ফাহিমের সঙ্গে মিলেমিশে ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ মাদকের রমরমা কারবার করে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আগে আওয়ামীলীগ করতাম। এখন কোনো দলে নেই। রাসেল মেহেদী ও সিফাতসহ আমরা কয়জন বন্ধু একত্রে চলাফেরা করি। চাঁদাবাজি করি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। এর মধ্যে আছে হোটেল, রেস্তোরা-স্পা। এসব মালিকদের পাশে থাকি। কেউ ক্ষতি করতে আসলে আমরা নিরাপত্তা দিই। তারা আমাদের প্রতি সপ্তাহে একটা খরচ দেয়। বহিরাগতরা ঝামেলা করতে এলে আমরা প্রতিহত করি। এই মালিকরাও আমাদের প্রতি সপ্তাহে আমাদের চাঁদা দেয়।”

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করব। আমাদের গোয়েন্দা টিমের মাধ্যমে আমরা অনুসন্ধানে যাবো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”