, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ওসমান হাদীর উপর গুলি সার্বভৌমত্বে আঘাত! স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ কাশিমপুরে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পাগলা মাসুদের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি মামলা! শহিদুলকে টার্গেট করে ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মিথ্যাচার- কাজ না পেয়ে এখন হুমকির নাটক! বরিশালে ইসলামী শক্তির শক্তিরূপ -ক্ষমতার মসনদে আর চোর-দুর্নীতিবাজ নয়! রাতের অন্ধকারে দখলচক্রের থাবা! বায়না করা জমিতে হানা দিয়ে বালু ভরাট-থানায় তীব্র অভিযোগ! স্বাধীনতার চেতনায় বদলে যেতে প্রস্তুত ঢাকা-৭-নেতৃত্বে শাহানা সুলতানা! চাঁদাবাজ-মাদক সিন্ডিকেট ভাঙার ঘোষণা, শফিকের আগমনেই অস্থির প্রতিদ্বন্দ্বীরা! বিনা অপরাধে ডিবি হেফাজতে ১০ ঘণ্টা-প্রেস কনফারেন্স ঠেকাতেই আটক-অভিযোগ সাংবাদিকের। ডাঃ জাফরুল্লাহর গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যালসে গাজীপুর ৬ আসনের বিএনপির এমপি পদপ্রার্থীর বাবার হামলা ভাঙচুর – থানায় অভিযোগ সাংবাদিক-পেটানো মামলার আসামি মাসুম পুলিশের হাতেই ‘কামড় দিয়ে’ রাতের আঁধারে গায়েব!
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

চাটমোহরে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১৪০ পড়া হয়েছে

পাবনা প্রতিনিধি।। পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনার চাটমোহরে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (০৭ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তীর চাটমোহর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক মামুনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা ফৈলজানা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের অভিযোগ, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরে ধরে মামুনের নেতৃৃত্বে তার ১০ থেকে ১২ জন সহযোগী এসে শুক্রবার বিকেলে আমার বাড়িতে হামলা করে। এ সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। বাড়িতে থাকা নারীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে। মামুন ও তার লোকজন বাড়ির প্রধান ফটকে ভাঙচুরের চেষ্টা করে। না পেরে পেছন দিকে গিয়ে টিনের ঘর ও রান্নাঘর ভাঙচুর করে। এছাড়া বসতঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা চলে বাড়ির মহিলারা আগুন নেভায়।

বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, পাবখালী মিনহাজ মোড় গ্রামের জামে মসজিদের বরাদ্দ ২ মেট্টিকটন চাউল তোলা নিয়ে মসজিদ কমিটির দুই পক্ষের বিরোধ চলছে। সম্প্রতি কমিটির ক্যাশিয়ার মতিন চাউল তুলে বিক্রি করে টাকা তার কাছে রেখেছিল। আমার বাড়ি এক জায়গায়, মসজিদ অন্য জায়গায়। সেই মসজিদ কমিটিরও আমি কেউ নই। অথচ ওই মসজিদের চাউল আত্মসাতের ঘটনার সাথে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে এই মামুন গং। এছাড়াও শুক্রবার দুই পক্ষের মারামারির ঘটনাতেও আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। আমি এসব ষড়যন্ত্রে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মামুনের বিচার চাই।

ফৈলজানা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, মুলত আমার চাচা সাইফুল ইসলাম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেন। কেমন মানুষ সবাই জানে। তাকে হেয় করে নিজে বড় হতে চায় মামুন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে সে। যাতে আমার চাচাকে নিচে ফেলে সে উপরে উঠতে পারে, বড় নেতা হতে পারে। এই জন্য মামুন নানাভাবে ষড়যন্ত্র আর হয়রানী করে যাচ্ছে।

ফৈলজানা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক পালন বলেন, আমি শুনে সাইফুল ইসলামের বাড়িতে এসে ভাঙচুরের ঘটনা জানতে পারি। বিষয়টি দু:খজনক। নিজ দলের নেতাকর্মীদের এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায়না। আমি এই হামলা ভাঙচুরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাটমোহর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মিনহাজ মোড় জামে মসজিদের চাউল চুরির ঘটনা এলাকাবাসী জেনে যাওয়ায় বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন মুসুল্লীদের বাড়িতে গিয়ে মারধর করেছে। সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী তার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। এখানে আমি জড়িত নই। কুল কিনারা না পেয়ে তিনি এখন আমার দিকে মিথ্যা অভিযোগ ছুঁড়ছেন।

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ওসমান হাদীর উপর গুলি সার্বভৌমত্বে আঘাত! স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ

চাটমোহরে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

পাবনা প্রতিনিধি।। পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনার চাটমোহরে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (০৭ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তীর চাটমোহর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক মামুনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা ফৈলজানা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের অভিযোগ, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরে ধরে মামুনের নেতৃৃত্বে তার ১০ থেকে ১২ জন সহযোগী এসে শুক্রবার বিকেলে আমার বাড়িতে হামলা করে। এ সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। বাড়িতে থাকা নারীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে। মামুন ও তার লোকজন বাড়ির প্রধান ফটকে ভাঙচুরের চেষ্টা করে। না পেরে পেছন দিকে গিয়ে টিনের ঘর ও রান্নাঘর ভাঙচুর করে। এছাড়া বসতঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা চলে বাড়ির মহিলারা আগুন নেভায়।

বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, পাবখালী মিনহাজ মোড় গ্রামের জামে মসজিদের বরাদ্দ ২ মেট্টিকটন চাউল তোলা নিয়ে মসজিদ কমিটির দুই পক্ষের বিরোধ চলছে। সম্প্রতি কমিটির ক্যাশিয়ার মতিন চাউল তুলে বিক্রি করে টাকা তার কাছে রেখেছিল। আমার বাড়ি এক জায়গায়, মসজিদ অন্য জায়গায়। সেই মসজিদ কমিটিরও আমি কেউ নই। অথচ ওই মসজিদের চাউল আত্মসাতের ঘটনার সাথে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে এই মামুন গং। এছাড়াও শুক্রবার দুই পক্ষের মারামারির ঘটনাতেও আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। আমি এসব ষড়যন্ত্রে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মামুনের বিচার চাই।

ফৈলজানা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, মুলত আমার চাচা সাইফুল ইসলাম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেন। কেমন মানুষ সবাই জানে। তাকে হেয় করে নিজে বড় হতে চায় মামুন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে সে। যাতে আমার চাচাকে নিচে ফেলে সে উপরে উঠতে পারে, বড় নেতা হতে পারে। এই জন্য মামুন নানাভাবে ষড়যন্ত্র আর হয়রানী করে যাচ্ছে।

ফৈলজানা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক পালন বলেন, আমি শুনে সাইফুল ইসলামের বাড়িতে এসে ভাঙচুরের ঘটনা জানতে পারি। বিষয়টি দু:খজনক। নিজ দলের নেতাকর্মীদের এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায়না। আমি এই হামলা ভাঙচুরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাটমোহর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মিনহাজ মোড় জামে মসজিদের চাউল চুরির ঘটনা এলাকাবাসী জেনে যাওয়ায় বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন মুসুল্লীদের বাড়িতে গিয়ে মারধর করেছে। সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী তার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। এখানে আমি জড়িত নই। কুল কিনারা না পেয়ে তিনি এখন আমার দিকে মিথ্যা অভিযোগ ছুঁড়ছেন।

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’