, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বরিশালে শিক্ষার নামে “দুর্নীতির ইঞ্জিনিয়ারিং”! শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ! ফুলের তোড়া থেকে শুরু, টিভি-ল্যাপটপে শেষ – নুরুল ইসলাম আবারো জিলা স্কুলের হিরো! এতিমদের সাথে ‘বরিশাল বাণী’ পরিবারের নৈশভোজ বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল সদর হাসপাতাল! “চিকিৎসা নাই, সিকিউরিটি নাই, শুধু চোরের ডাক্তারখানা!” কাশীপুরে বাবার নামে ছেলের ‘প্রেমকাহিনি’তে রক্ত গরম!ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা, টাকা উধাও! বরিশালে “ধর্ষণ-ভিডিও ইন্ডাস্ট্রি”র নতুন নায়িকা মীম! বরিশালে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত নলছিটিতে প্রেসক্লাব ভবনে চাঁদাবাজদের দাপট! বরিশাল সিটিতে দাওয়াতে ইসলামীর বৃহত্তর জশ‌নে জুলুস 
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

শেরপুর শহরে জি-৭ হোটেল সহ ৫ ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড

  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১১৮ পড়া হয়েছে

শেরপুর প্রতিনিধি।। শেরপুরে পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি,গুনগত মানহীন পণ্য বিক্রী,মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরী সহ ভোক্তাদের হয়রানীরোধে বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকিতে নেমেছে শেরপুর জেলা প্রশাসন। এরি অংশ হিসেবে নিয়মিত বাজার মনিটরিংকালে শনিবার (৮মার্চ)

দুপুরে শেরপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র রঘুনাথ বাজার ও মুন্সীবাজার এলাকায় ফলমুলের দোকান,হোটেল-রেস্তোরা ও বেকারী দোকানগুলোতে তদারকি করা হয়। এসময় নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংক্ষরণ আইন-২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় ভ্রাম্যমান আদালতে ২ টি হোটেল,২টি ফলের দোকান ও একটি বেকারী দোকানকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন,জেলা বাজার মনিটরিং টিমের কর্মকর্তা,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহমেদ এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব সরকার।এসময় অন্যান্যদের মাঝে মনিটরিং টিমের সদস ক্যাব শেরপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মো. মনিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।বাজার মনিটরিং টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করেন,জেলা পুলিশের একটি দল এবং কালেক্টরেট জিএম শাখার সাপোর্ট স্টাফরা। মনিটরিংকালে শহরের মুন্সীবাজার এলাকার জি-৭ রেস্তোরা ও চাইনীজ হোটেলের রান্নাঘরের ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সাথে রান্নাকরা মাংস মজুদ করা,কাচ্চি তৈরীর জন্য ভেজাল ও বাসি মাংস মৌজুদ করে রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মুন্সীবাজার এলাকার মোহাম্মদীয়া বেকারীর দোকানদার মো. মোয়াজকে উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীণের তারিখ এবং বিক্রয়মুল্য লেখা না থাকার জন্য ২ হাজার টাকা,রঘুনাথ বাজার এলাকার বিএনপি অফিসের পাশে চাঁন মিয়ার হোটেলে খাবার সংরক্ষণে ত্রুটি ও ঢেকে না রাখায় ৫০০ টাকা এবং মুল্য তালিকা টানানো না থাকার কারণে সত্যবতী সিনেমা হল সংলগ্ন দুই ফল ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়াকে ৩ হাজার টাকা ও সুজন মিয়াকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।বাজার মনিটরিংকালে টিমের সদস্যরা বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দোকানে পণ্যের দাম,মান,মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও পণ্যের সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেন।এসময় বাজার দর,ব্যাবসায়িক লাইসেন্স, বিক্রয় মুল্য তালিকা,ক্রয় রশিদ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। রমজান মাসে ভোক্তা সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবে প্রতারণার সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেইসাথে হোটেলে মানসম্মত খাবার বিক্রীতে অবহেলা এবং ফলমুলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অবলোকন করে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং যৌক্তিক লাভ বিবেচনায় সহনীয় মূল্যে দ্রব্যমুল্য বিক্রীর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

জনপ্রিয়

বরিশালে শিক্ষার নামে “দুর্নীতির ইঞ্জিনিয়ারিং”! শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ!

শেরপুর শহরে জি-৭ হোটেল সহ ৫ ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড

প্রকাশের সময় : ১২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

শেরপুর প্রতিনিধি।। শেরপুরে পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি,গুনগত মানহীন পণ্য বিক্রী,মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরী সহ ভোক্তাদের হয়রানীরোধে বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকিতে নেমেছে শেরপুর জেলা প্রশাসন। এরি অংশ হিসেবে নিয়মিত বাজার মনিটরিংকালে শনিবার (৮মার্চ)

দুপুরে শেরপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র রঘুনাথ বাজার ও মুন্সীবাজার এলাকায় ফলমুলের দোকান,হোটেল-রেস্তোরা ও বেকারী দোকানগুলোতে তদারকি করা হয়। এসময় নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংক্ষরণ আইন-২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় ভ্রাম্যমান আদালতে ২ টি হোটেল,২টি ফলের দোকান ও একটি বেকারী দোকানকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন,জেলা বাজার মনিটরিং টিমের কর্মকর্তা,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহমেদ এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব সরকার।এসময় অন্যান্যদের মাঝে মনিটরিং টিমের সদস ক্যাব শেরপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মো. মনিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।বাজার মনিটরিং টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করেন,জেলা পুলিশের একটি দল এবং কালেক্টরেট জিএম শাখার সাপোর্ট স্টাফরা। মনিটরিংকালে শহরের মুন্সীবাজার এলাকার জি-৭ রেস্তোরা ও চাইনীজ হোটেলের রান্নাঘরের ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সাথে রান্নাকরা মাংস মজুদ করা,কাচ্চি তৈরীর জন্য ভেজাল ও বাসি মাংস মৌজুদ করে রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মুন্সীবাজার এলাকার মোহাম্মদীয়া বেকারীর দোকানদার মো. মোয়াজকে উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীণের তারিখ এবং বিক্রয়মুল্য লেখা না থাকার জন্য ২ হাজার টাকা,রঘুনাথ বাজার এলাকার বিএনপি অফিসের পাশে চাঁন মিয়ার হোটেলে খাবার সংরক্ষণে ত্রুটি ও ঢেকে না রাখায় ৫০০ টাকা এবং মুল্য তালিকা টানানো না থাকার কারণে সত্যবতী সিনেমা হল সংলগ্ন দুই ফল ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়াকে ৩ হাজার টাকা ও সুজন মিয়াকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।বাজার মনিটরিংকালে টিমের সদস্যরা বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দোকানে পণ্যের দাম,মান,মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও পণ্যের সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেন।এসময় বাজার দর,ব্যাবসায়িক লাইসেন্স, বিক্রয় মুল্য তালিকা,ক্রয় রশিদ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। রমজান মাসে ভোক্তা সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবে প্রতারণার সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেইসাথে হোটেলে মানসম্মত খাবার বিক্রীতে অবহেলা এবং ফলমুলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অবলোকন করে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং যৌক্তিক লাভ বিবেচনায় সহনীয় মূল্যে দ্রব্যমুল্য বিক্রীর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।