, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ওসমান হাদীর উপর গুলি সার্বভৌমত্বে আঘাত! স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ কাশিমপুরে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পাগলা মাসুদের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি মামলা! শহিদুলকে টার্গেট করে ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মিথ্যাচার- কাজ না পেয়ে এখন হুমকির নাটক! বরিশালে ইসলামী শক্তির শক্তিরূপ -ক্ষমতার মসনদে আর চোর-দুর্নীতিবাজ নয়! রাতের অন্ধকারে দখলচক্রের থাবা! বায়না করা জমিতে হানা দিয়ে বালু ভরাট-থানায় তীব্র অভিযোগ! স্বাধীনতার চেতনায় বদলে যেতে প্রস্তুত ঢাকা-৭-নেতৃত্বে শাহানা সুলতানা! চাঁদাবাজ-মাদক সিন্ডিকেট ভাঙার ঘোষণা, শফিকের আগমনেই অস্থির প্রতিদ্বন্দ্বীরা! বিনা অপরাধে ডিবি হেফাজতে ১০ ঘণ্টা-প্রেস কনফারেন্স ঠেকাতেই আটক-অভিযোগ সাংবাদিকের। ডাঃ জাফরুল্লাহর গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যালসে গাজীপুর ৬ আসনের বিএনপির এমপি পদপ্রার্থীর বাবার হামলা ভাঙচুর – থানায় অভিযোগ সাংবাদিক-পেটানো মামলার আসামি মাসুম পুলিশের হাতেই ‘কামড় দিয়ে’ রাতের আঁধারে গায়েব!
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

গ্যাঁড়াকলের গ্যাঁড়ায় বিএনপি

  • মেহরাজ রাব্বি
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৮৪ পড়া হয়েছে

মেহরাজ রাব্বি।।  আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, এই মুহূর্তে সবচাইতে বেকায়দায় কোন রাজনৈতিক দল? আমি সরাসরি উত্তর দেবো “বিএনপি”। যদি প্রশ্ন করে কেউ, সবচাইতে অস্থিরতায় আছে কোন দল? সেটার উত্তরটিও দেবো বিএনপি।

কেন জানি মনে হচ্ছে সবচাইতে গ্যাঁড়াকলে বর্তমানে বিএনপি আছে। এই গ্যাঁড়াকলের উৎপত্তির কারণটিও বিএনপি নিজেই। তাদের রাজনীতিতে বেশ অস্থিরতা প্রকাশ সেটা প্রমাণ করে। বিএনপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বারবার দোলাচলের মধ্য পড়ছে কারণ বিএনপি একদিকে বর্তমান সরকারের উপর শতভাগ বিশ্বাস রাখে আবার অবিশ্বাস করে। কেন এমনটা হয়? কারণ বিএনপি তাদের নিজেস্ব রাজনৈতিক নীতির সাথে শক্ত পোক্ত থাকতে সময়ে সময়ে ধাক্কা খাচ্ছে এবং থাকতে পারছে না।

লক্ষ্য করলে দেখবেন, বিএনপির দায়িত্বশীল বড় বড় নেতাদের একজনের সাথে আরেকজনের কথা ও বচনে ভীষণ রকমের অমিল রয়েছে। দল থেকে একটি সিদ্ধান্ত পাকাপোক্তভাবে কেউ বহন করছে না বলেই বহু নেতার বহু বচনে বেশ প্রমাণ হয়। অথচ বিএনপির প্রতি মানুষের যে আস্থা ভরসা এই মুহূর্তে বেড়েছে, সেটাও বিএনপি মনে হচ্ছে সঠিকভাবে অঙ্কে হিসেব কষতে কোথায় যেন বারবার ভুল করছে।

রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে একটি স্ট্যান্ড নিতে না পারলে এত বড় ও বর্তমানের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলটি খেই হারাবে এবং তেমনটাই বেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেন জানি গত কয়েকদিনে মনে হচ্ছে বিএনপির ভিতরে একপ্রকার রাজনৈতিক ভয় প্রবেশ করেছে। তাদের ভাবনায় এখন বেশ ক্রিয়া করছে সরকারের সহযোগিতায় গড়ে উঠা নতুন দলটি দ্বারা সরকার বিএনপিকে নির্মূল (eliminated) করার পথেই হাটছৈ। যদিও শব্দটি eliminated না বলে আগামীর সংসদীয় গণতন্ত্রে দূর্বল (weak) করা বললে সঠিক হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ যানে তাদেরকে নির্বাচনের পথে হাঁটতেই হবে এবং সেই পথেই হাঁটবে তবে অনেকটা নিজেদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করার ফন্দি বেশ এঁটেছে বলেই সরকারের কর্ম দেখে সেটা অনুমান করা অসম্ভব কিছু না। সরকারের মাটি বা ঘাঁটি শক্ত করার প্রক্রিয়ার ফাঁদেই বিএনপি দূর্বল হচ্ছে এবং হবে। সেটা বিএনপি দেরীতে হলেও এখন সেটা বেশ অনুধাবন করছে বলেই মনে হয়। লক্ষ্য করুন, গত দুদিন পূর্বেই বিএনপির মহাসচিব নির্বাচনের বিষয়ে বক্তব্যগুলো। তাহলে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে সামনে ভেসে উঠবে।

মাকড়সার সেই পুরনো গল্প স্মরণ হলো। চারিদিক থেকে খাদ্য জোগাড় কৌশলে অতঃপর মাকড়সাটির মরন ঘটে। বিএনপির মতন এত বৃহৎ দল জাতির ক্রান্তিলঘ্নে এক নিশানায় রাজনীতির করতে অক্ষম হলে রাজনৈতিক সক্ষমতা অচিরেই আরও দূর্বল হবেই হবে। এমন সময় বিএনপি দূর্বল হওয়া মানে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তি আরও শক্ত পোক্ত হবে এটা নিশ্চিত।

সামনে দেখার বিষয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৌখিক ডায়লগ নতুন রাজনৈতিক দলের জালে Welfare state & বিএনপির চর্চিত রাজনীতির Liberal Democratic position এর মাঝে কার জয় হয় এবং কে জাতিকে বাস্তবিক অর্থেই কোন পথে ঠেলে দেয়। বাংলার সেই পুরানো প্রবাদ, “পাটা পুতার ঘষাঘষি” থেকে জনমানুষের মুক্তি আসলেই নেই এবং থাকতেও নেই যেন।

শেষে একটি কথা বলি, গড্ডালিকায় যাওয়া আওয়ামী লীগ এই ঘষাঘষির ফাঁকে জনমানুষের নিকট কোন রূপে বিনা রাজনৈতিক ক্রিয়ায় সামনে চলে আসে? সেটাও দেখার বিষয় হবে বটে।

ওসমান হাদীর উপর গুলি সার্বভৌমত্বে আঘাত! স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ

গ্যাঁড়াকলের গ্যাঁড়ায় বিএনপি

প্রকাশের সময় : ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

মেহরাজ রাব্বি।।  আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, এই মুহূর্তে সবচাইতে বেকায়দায় কোন রাজনৈতিক দল? আমি সরাসরি উত্তর দেবো “বিএনপি”। যদি প্রশ্ন করে কেউ, সবচাইতে অস্থিরতায় আছে কোন দল? সেটার উত্তরটিও দেবো বিএনপি।

কেন জানি মনে হচ্ছে সবচাইতে গ্যাঁড়াকলে বর্তমানে বিএনপি আছে। এই গ্যাঁড়াকলের উৎপত্তির কারণটিও বিএনপি নিজেই। তাদের রাজনীতিতে বেশ অস্থিরতা প্রকাশ সেটা প্রমাণ করে। বিএনপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বারবার দোলাচলের মধ্য পড়ছে কারণ বিএনপি একদিকে বর্তমান সরকারের উপর শতভাগ বিশ্বাস রাখে আবার অবিশ্বাস করে। কেন এমনটা হয়? কারণ বিএনপি তাদের নিজেস্ব রাজনৈতিক নীতির সাথে শক্ত পোক্ত থাকতে সময়ে সময়ে ধাক্কা খাচ্ছে এবং থাকতে পারছে না।

লক্ষ্য করলে দেখবেন, বিএনপির দায়িত্বশীল বড় বড় নেতাদের একজনের সাথে আরেকজনের কথা ও বচনে ভীষণ রকমের অমিল রয়েছে। দল থেকে একটি সিদ্ধান্ত পাকাপোক্তভাবে কেউ বহন করছে না বলেই বহু নেতার বহু বচনে বেশ প্রমাণ হয়। অথচ বিএনপির প্রতি মানুষের যে আস্থা ভরসা এই মুহূর্তে বেড়েছে, সেটাও বিএনপি মনে হচ্ছে সঠিকভাবে অঙ্কে হিসেব কষতে কোথায় যেন বারবার ভুল করছে।

রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে একটি স্ট্যান্ড নিতে না পারলে এত বড় ও বর্তমানের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলটি খেই হারাবে এবং তেমনটাই বেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেন জানি গত কয়েকদিনে মনে হচ্ছে বিএনপির ভিতরে একপ্রকার রাজনৈতিক ভয় প্রবেশ করেছে। তাদের ভাবনায় এখন বেশ ক্রিয়া করছে সরকারের সহযোগিতায় গড়ে উঠা নতুন দলটি দ্বারা সরকার বিএনপিকে নির্মূল (eliminated) করার পথেই হাটছৈ। যদিও শব্দটি eliminated না বলে আগামীর সংসদীয় গণতন্ত্রে দূর্বল (weak) করা বললে সঠিক হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ যানে তাদেরকে নির্বাচনের পথে হাঁটতেই হবে এবং সেই পথেই হাঁটবে তবে অনেকটা নিজেদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করার ফন্দি বেশ এঁটেছে বলেই সরকারের কর্ম দেখে সেটা অনুমান করা অসম্ভব কিছু না। সরকারের মাটি বা ঘাঁটি শক্ত করার প্রক্রিয়ার ফাঁদেই বিএনপি দূর্বল হচ্ছে এবং হবে। সেটা বিএনপি দেরীতে হলেও এখন সেটা বেশ অনুধাবন করছে বলেই মনে হয়। লক্ষ্য করুন, গত দুদিন পূর্বেই বিএনপির মহাসচিব নির্বাচনের বিষয়ে বক্তব্যগুলো। তাহলে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে সামনে ভেসে উঠবে।

মাকড়সার সেই পুরনো গল্প স্মরণ হলো। চারিদিক থেকে খাদ্য জোগাড় কৌশলে অতঃপর মাকড়সাটির মরন ঘটে। বিএনপির মতন এত বৃহৎ দল জাতির ক্রান্তিলঘ্নে এক নিশানায় রাজনীতির করতে অক্ষম হলে রাজনৈতিক সক্ষমতা অচিরেই আরও দূর্বল হবেই হবে। এমন সময় বিএনপি দূর্বল হওয়া মানে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তি আরও শক্ত পোক্ত হবে এটা নিশ্চিত।

সামনে দেখার বিষয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৌখিক ডায়লগ নতুন রাজনৈতিক দলের জালে Welfare state & বিএনপির চর্চিত রাজনীতির Liberal Democratic position এর মাঝে কার জয় হয় এবং কে জাতিকে বাস্তবিক অর্থেই কোন পথে ঠেলে দেয়। বাংলার সেই পুরানো প্রবাদ, “পাটা পুতার ঘষাঘষি” থেকে জনমানুষের মুক্তি আসলেই নেই এবং থাকতেও নেই যেন।

শেষে একটি কথা বলি, গড্ডালিকায় যাওয়া আওয়ামী লীগ এই ঘষাঘষির ফাঁকে জনমানুষের নিকট কোন রূপে বিনা রাজনৈতিক ক্রিয়ায় সামনে চলে আসে? সেটাও দেখার বিষয় হবে বটে।