, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বরিশালে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ ৩৫ সংগঠন বরিশাল বিআরটিসি- সরকারি বাস নয়, যেন লোহার ব্যবসায়ীদের আড্ডাখানা! রাতের আঁধারে ‘গোপন নথি’ ফাঁস, সকালে ভাইরাল! গোপনীয়তা গেল গাছে’- ববির পিএসের হাতে প্রশাসনের মর্যাদা ধুলায়! মিরপুর বিটিসিএলে ‘গিরগিটি ফেরদৌস’-দিনে আওয়ামী লীগ, রাতে বিএনপি -আর অফিসে কমিশনের রাজত্ব!” বরিশাল মডেল স্কুলে ‘কোচিং স্যার’ তৃষানের রাজত্ব! শিক্ষা নয়, চলছে চাঁদাবাজির ক্লাস-যে পড়বে না, সে ফেল! বরিশাল বিআরটিসিতে ‘চোঙ্গির রাজত্ব’-মাসে ১৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজি! বরিশালে ৫০ বছর পর পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী মাতার মন্দির দুই মালিকের এক দাস- বরিশালের প্রকৌশলী জাকারিয়ার চমকপ্রদ রূপকথা! বিআরটিএ এখন ‘রুহুল আমিন কর্পোরেশন’! মিরপুর অফিসে দালালদের ছায়া সরকার, কোটি টাকার খেলায় রাষ্ট্র নির্বাক! বরিশালের “বীরপুরুষ” হাসানাত-দুদকের জালে এবার “অপরাজিত” নেতা!
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

আজিজ-সুমনের বোর্ডিংয়ে রাতের লেনদেন, কমিশনারের নির্দেশে কাঁপেনি একটিও দরজা!

  • প্রকাশের সময় : ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬২ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশালের হৃদপিণ্ড ফজলুল হক এভিনিউ এখন যেন “ফুলবাড়িয়া নাইট সিটি”! হাজী মো. মহসিন মার্কেটের প্রবেশ পথেই চলছে শরীরি ব্যবসার উৎসব। পুলিশ কমিশনার নিজে নির্দেশ দিয়েও যা বন্ধ করতে পারেননি, সেই অলৌকিক ক্ষমতা যেন আজিজ ও সুমনের হাতেই!

গত ১২ আগস্ট দুপুরে পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের কাছে হাজির হয়েছিলেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, আজিজের মনপুরা বোর্ডিং আর সুমনের ভোলা বোর্ডিং এখন পতিতালয়ের নতুন নাম। অভিযোগে আরও বলা হয়,দিনে বোর্ডিং, রাতে বোর্ডিং-স্কুল! আর শিক্ষকরা? স্থানীয় দালাল বাহিনী, যারা সারাদিন স্লোগান দেয়,

ভাই, উপরে ভালো জিনিস আছে! কম বয়সি, কম দামি, ফুল কোয়ালিটি! এমন আহ্বান শুনে অনেকে থমকে দাঁড়ান, কেউ কেউ টেনে নেওয়া হন শিক্ষালয়ে”,যেখানে পড়ানো হয় দেহের ভাষা, আর পরীক্ষা হয় রাতভর!

ব্যবসায়ীরা জানালেন, তারা বহুবার বোর্ডিং মালিকদের সতর্ক করেছেন, কিন্তু সাড়া মেলেনি। বরং, “চলে যা, বেশি জ্বালাস না জাতীয় প্রতিক্রিয়ায় আরও বেপরোয়া হয়েছে তারা। মার্কেটের নারী ক্রেতারা যেখানে যেতে ভয় পান, সেখানে মাদকাসক্ত ও জুয়ারিরা খোলা মাঠে খেলে যাচ্ছে দেহের খেলা।

এই অভিযোগের পর পুলিশ কমিশনার নিজে নির্দেশ দিয়েছিলেন,, নগরীর সব অবৈধ হোটেল ও বোর্ডিং বন্ধ করতে হবে।”

কিন্তু কমিশনারের নির্দেশ যেন কোতোয়ালি থানার কাছে একধরনের বিনোদন! ওসি মিজানুর রহমান গম্ভীর মুখে বললেন, অভিযান চলছে, কিন্তু কাউকে ধরা যায়নি।”

ধরা যায়নি কেন? কারণ হয়তো সবাই এক পরিবার,কেউ পাহারা দেয়, কেউ ‘গ্রাহক,কেউ ‘পরিচালক’।

নগরবাসী বলছে, নানীবুড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ১০০ হাত দূরে চলছে এই দেহব্যবসা, অথচ পুলিশের চোখে ঘুম আর কানে তুলো। একজন স্থানীয় রিকশাচালক হেসে বললেন,

“ভাই, পুলিশও জানে কোন রুমে কী চলে। কিন্তু তারা হয়তো ‘অভিযান’ মানে ভুল বুঝছে রাতের অন্যরকম অভিযান!

সচেতন মহল বলছে, বরিশাল শহরে এখন কমিশনার নির্দেশ দেন, ওসি বোঝেন,‘দেখো না, বোঝো না, কিছু করো না। আর এভাবেই “আইনের শহর” ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে আনন্দনগর, কোতোয়ালি অধ্যায়।

বরিশালে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ ৩৫ সংগঠন

আজিজ-সুমনের বোর্ডিংয়ে রাতের লেনদেন, কমিশনারের নির্দেশে কাঁপেনি একটিও দরজা!

প্রকাশের সময় : ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশালের হৃদপিণ্ড ফজলুল হক এভিনিউ এখন যেন “ফুলবাড়িয়া নাইট সিটি”! হাজী মো. মহসিন মার্কেটের প্রবেশ পথেই চলছে শরীরি ব্যবসার উৎসব। পুলিশ কমিশনার নিজে নির্দেশ দিয়েও যা বন্ধ করতে পারেননি, সেই অলৌকিক ক্ষমতা যেন আজিজ ও সুমনের হাতেই!

গত ১২ আগস্ট দুপুরে পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের কাছে হাজির হয়েছিলেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, আজিজের মনপুরা বোর্ডিং আর সুমনের ভোলা বোর্ডিং এখন পতিতালয়ের নতুন নাম। অভিযোগে আরও বলা হয়,দিনে বোর্ডিং, রাতে বোর্ডিং-স্কুল! আর শিক্ষকরা? স্থানীয় দালাল বাহিনী, যারা সারাদিন স্লোগান দেয়,

ভাই, উপরে ভালো জিনিস আছে! কম বয়সি, কম দামি, ফুল কোয়ালিটি! এমন আহ্বান শুনে অনেকে থমকে দাঁড়ান, কেউ কেউ টেনে নেওয়া হন শিক্ষালয়ে”,যেখানে পড়ানো হয় দেহের ভাষা, আর পরীক্ষা হয় রাতভর!

ব্যবসায়ীরা জানালেন, তারা বহুবার বোর্ডিং মালিকদের সতর্ক করেছেন, কিন্তু সাড়া মেলেনি। বরং, “চলে যা, বেশি জ্বালাস না জাতীয় প্রতিক্রিয়ায় আরও বেপরোয়া হয়েছে তারা। মার্কেটের নারী ক্রেতারা যেখানে যেতে ভয় পান, সেখানে মাদকাসক্ত ও জুয়ারিরা খোলা মাঠে খেলে যাচ্ছে দেহের খেলা।

এই অভিযোগের পর পুলিশ কমিশনার নিজে নির্দেশ দিয়েছিলেন,, নগরীর সব অবৈধ হোটেল ও বোর্ডিং বন্ধ করতে হবে।”

কিন্তু কমিশনারের নির্দেশ যেন কোতোয়ালি থানার কাছে একধরনের বিনোদন! ওসি মিজানুর রহমান গম্ভীর মুখে বললেন, অভিযান চলছে, কিন্তু কাউকে ধরা যায়নি।”

ধরা যায়নি কেন? কারণ হয়তো সবাই এক পরিবার,কেউ পাহারা দেয়, কেউ ‘গ্রাহক,কেউ ‘পরিচালক’।

নগরবাসী বলছে, নানীবুড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ১০০ হাত দূরে চলছে এই দেহব্যবসা, অথচ পুলিশের চোখে ঘুম আর কানে তুলো। একজন স্থানীয় রিকশাচালক হেসে বললেন,

“ভাই, পুলিশও জানে কোন রুমে কী চলে। কিন্তু তারা হয়তো ‘অভিযান’ মানে ভুল বুঝছে রাতের অন্যরকম অভিযান!

সচেতন মহল বলছে, বরিশাল শহরে এখন কমিশনার নির্দেশ দেন, ওসি বোঝেন,‘দেখো না, বোঝো না, কিছু করো না। আর এভাবেই “আইনের শহর” ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে আনন্দনগর, কোতোয়ালি অধ্যায়।