, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বরিশালে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ ৩৫ সংগঠন বরিশাল বিআরটিসি- সরকারি বাস নয়, যেন লোহার ব্যবসায়ীদের আড্ডাখানা! রাতের আঁধারে ‘গোপন নথি’ ফাঁস, সকালে ভাইরাল! গোপনীয়তা গেল গাছে’- ববির পিএসের হাতে প্রশাসনের মর্যাদা ধুলায়! মিরপুর বিটিসিএলে ‘গিরগিটি ফেরদৌস’-দিনে আওয়ামী লীগ, রাতে বিএনপি -আর অফিসে কমিশনের রাজত্ব!” বরিশাল মডেল স্কুলে ‘কোচিং স্যার’ তৃষানের রাজত্ব! শিক্ষা নয়, চলছে চাঁদাবাজির ক্লাস-যে পড়বে না, সে ফেল! বরিশাল বিআরটিসিতে ‘চোঙ্গির রাজত্ব’-মাসে ১৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজি! বরিশালে ৫০ বছর পর পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী মাতার মন্দির দুই মালিকের এক দাস- বরিশালের প্রকৌশলী জাকারিয়ার চমকপ্রদ রূপকথা! বিআরটিএ এখন ‘রুহুল আমিন কর্পোরেশন’! মিরপুর অফিসে দালালদের ছায়া সরকার, কোটি টাকার খেলায় রাষ্ট্র নির্বাক! বরিশালের “বীরপুরুষ” হাসানাত-দুদকের জালে এবার “অপরাজিত” নেতা!
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

বাকেরগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার ফয়সালের কেলেঙ্কারি! স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বরিশালের বাকেরগঞ্জে ভুয়া ডাক্তারি, প্রতারণা আর পরকীয়ার নায়ক ফয়সাল মাহমুদ ওরফে মনির হাওলাদারের আসল চেহারা উন্মোচন করেছেন তার প্রথম স্ত্রী মালা বেগম। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে মালা বেগমের দেওয়া লিখিত বক্তব্যে উঠে এসেছে এক নাটকীয় জীবনের অন্ধকার অধ্যায়।

মালা বেগম অভিযোগ করেন, ১৯৯৮ সালে বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিন কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু সুখের সংসার ভেঙে যায় যখন ২০০৫ সালে মনির গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এরপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ভয়ংকর অধ্যায়।

শুধু তাই নয়, ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ফয়সাল নিজ গ্রামে গিয়ে হামলা চালায়। এতে মালা বেগম, তার দুই কন্যা ও জামাতা আহত হন। এরপরও থামেননি এই ‘ভুয়া ডাক্তার’; বরং নাটক সাজিয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই থানায় মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মালা বেগম জানান, ফয়সাল শুধু প্রতারকই নন, তিনি ‘মিডিয়াকর্মী’ পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে ফেসবুকে নানা মানহানিকর পোস্টও করছেন। সেখানে মালা বেগম, তার জামাতা সোহেল এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজান মোল্লাকে জড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো,ভোটার আইডি কার্ডে তার নাম মনির হাওলাদার, অথচ ঢাকায় গিয়ে তিনি ‘ফয়সাল মাহমুদ’ সেজে ভুয়া ডেন্টালের ডাক্তারি করছেন। ভুয়া ডিগ্রি, ভুয়া নাম, ভুয়া পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।

মালা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
স্বামী বলে যে মানুষটা সংসার ভেঙে দিয়েছে, সেই আবার ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থেকে ভুয়া ডাক্তার সেজে প্রতারণা করছে। আমার মেয়েদের জন্মনিবন্ধনে বাবার নাম মনির হাওলাদার,কিন্তু ঢাকায় গিয়ে সে হয়ে যায় ডাক্তার ফয়সাল মাহমুদ!”

তিনি প্রশাসনের কাছে ভুয়া ডাক্তার ফয়সালের প্রতারণা ও নির্যাতনের বিচার দাবি করেছেন।

বরিশালে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ ৩৫ সংগঠন

বাকেরগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার ফয়সালের কেলেঙ্কারি! স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য।

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বরিশালের বাকেরগঞ্জে ভুয়া ডাক্তারি, প্রতারণা আর পরকীয়ার নায়ক ফয়সাল মাহমুদ ওরফে মনির হাওলাদারের আসল চেহারা উন্মোচন করেছেন তার প্রথম স্ত্রী মালা বেগম। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে মালা বেগমের দেওয়া লিখিত বক্তব্যে উঠে এসেছে এক নাটকীয় জীবনের অন্ধকার অধ্যায়।

মালা বেগম অভিযোগ করেন, ১৯৯৮ সালে বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিন কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু সুখের সংসার ভেঙে যায় যখন ২০০৫ সালে মনির গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এরপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ভয়ংকর অধ্যায়।

শুধু তাই নয়, ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ফয়সাল নিজ গ্রামে গিয়ে হামলা চালায়। এতে মালা বেগম, তার দুই কন্যা ও জামাতা আহত হন। এরপরও থামেননি এই ‘ভুয়া ডাক্তার’; বরং নাটক সাজিয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই থানায় মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মালা বেগম জানান, ফয়সাল শুধু প্রতারকই নন, তিনি ‘মিডিয়াকর্মী’ পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে ফেসবুকে নানা মানহানিকর পোস্টও করছেন। সেখানে মালা বেগম, তার জামাতা সোহেল এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজান মোল্লাকে জড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো,ভোটার আইডি কার্ডে তার নাম মনির হাওলাদার, অথচ ঢাকায় গিয়ে তিনি ‘ফয়সাল মাহমুদ’ সেজে ভুয়া ডেন্টালের ডাক্তারি করছেন। ভুয়া ডিগ্রি, ভুয়া নাম, ভুয়া পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।

মালা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
স্বামী বলে যে মানুষটা সংসার ভেঙে দিয়েছে, সেই আবার ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থেকে ভুয়া ডাক্তার সেজে প্রতারণা করছে। আমার মেয়েদের জন্মনিবন্ধনে বাবার নাম মনির হাওলাদার,কিন্তু ঢাকায় গিয়ে সে হয়ে যায় ডাক্তার ফয়সাল মাহমুদ!”

তিনি প্রশাসনের কাছে ভুয়া ডাক্তার ফয়সালের প্রতারণা ও নির্যাতনের বিচার দাবি করেছেন।