নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশাল জিলা স্কুলে আবারো নাটকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটালেন ফ্যাসিবাদের দোসর, মুজিব চেতনার ব্যবসায়ী প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম।
সরকার পাল্টায়, মন্ত্রী পাল্টায়, এমপি পাল্টায়,কিন্তু বরিশালের কালচার পাল্টায় না! আজকে যে খলনায়ক, কালকে সে-ই নায়ক। আর সেই নায়ককে অভ্যর্থনা দিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাথায় সূর্য বসিয়ে দাঁড় করানো হলো মাঠে। মনে হলো না কোনো স্কুলে প্রধান শিক্ষক এসেছেন, মনে হলো নির্বাচনী মাঠে প্র্যাকটিস ম্যাচ চলছে।
মুজিবপ্রেম নাকি “মুজিব-বাণিজ্য”?
শেখ মুজিবকে নিয়ে একের পর এক বই লিখে, মুরাল বানিয়ে, কলাম ছেপে “জেলা সেরা প্রধান শিক্ষক” হয়েছেন নুরুল ইসলাম। অথচ পেছনে ছিল টিভি, ল্যাপটপ, প্রিন্টার–সব স্কুল ফান্ড থেকে কিনে নিজ বাসায় ‘চেতনা জাগরণ কেন্দ্র’ চালানোর ইতিহাস!
দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির মাইলফলক..
*ঝালকাঠীতে নারী কেলেঙ্কারিতে হোটেল থেকে ধরা পড়া।
*বরগুনায় অভিভাবকদের হাতে দুই দিন অবরুদ্ধ থাকা।
*মাদারীপুরে শাহজাহান খানের ছত্রছায়ায় লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ।
*দেশে না থেকেও পুরো বেতন তোলার কীর্তি।
*স্কুল ফান্ড থেকে মোটা অংকের টাকা নিজের পকেটে ঢোকানো।
*শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বাণিজ্যের অভিযোগ।
চেয়ার বদলায়, ফুল বদলায় না!
জিলা স্কুলের শত শত শিক্ষার্থী ক্লাস বাদ দিয়ে সূর্যের তাপে পুড়ে গেছে এক ব্যক্তির ফুলেল অভ্যর্থনা প্রহসনে। অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ, কিন্তু প্রশাসনের সুর একই,বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
বরিশালের রাজনীতিতে যেমন তোষামোদের কালচার চিরস্থায়ী, তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি-ফুলেল অভিনয়ও এখন অমর সংস্কৃতি।
নুরুল ইসলাম আবার জিলা স্কুলে ফিরে এসে প্রমাণ করলেন,ক্ষমতা গেলে কেলেঙ্কারি, ক্ষমতা এলে চেতনা!”
আজকের ভিলেন কালকের হিরো, আর হিরো হতে চাইলে বরিশালে লাগে না সততা,লাগে শুধু ফুলের তোড়া, দলবদল আর কিছু তোষামোদ!