, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বরিশালে শিক্ষার নামে “দুর্নীতির ইঞ্জিনিয়ারিং”! শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ! ফুলের তোড়া থেকে শুরু, টিভি-ল্যাপটপে শেষ – নুরুল ইসলাম আবারো জিলা স্কুলের হিরো! এতিমদের সাথে ‘বরিশাল বাণী’ পরিবারের নৈশভোজ বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল সদর হাসপাতাল! “চিকিৎসা নাই, সিকিউরিটি নাই, শুধু চোরের ডাক্তারখানা!” কাশীপুরে বাবার নামে ছেলের ‘প্রেমকাহিনি’তে রক্ত গরম!ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা, টাকা উধাও! বরিশালে “ধর্ষণ-ভিডিও ইন্ডাস্ট্রি”র নতুন নায়িকা মীম! বরিশালে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত নলছিটিতে প্রেসক্লাব ভবনে চাঁদাবাজদের দাপট! বরিশাল সিটিতে দাওয়াতে ইসলামীর বৃহত্তর জশ‌নে জুলুস 
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সালামির গন্ধে মনগড়া তদন্ত: সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট!

  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
  • ১২৮ পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।সাংবাদিক দমন এখন পুলিশের নতুন শখ নাকি?পটুয়াখালীতে সংবাদ প্রকাশের অপরাধে সাংবাদিক কাজী মামুনের নামে সাজানো মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে সদর থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর। আশ্চর্যের ব্যাপার,প্রমাণ নেই, সিসিটিভি নেই, কল রেকর্ড নেই, শুধু বাদীর আত্মীয়-স্বজনদের মুখের কথা আর সালামির খিদে!

ঘটনার শুরু ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর। দৈনিক নবচেতনা, ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস ও নিউজ ২১ বাংলা টেলিভিশনের সাংবাদিক কাজী মামুন স্থানীয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এরপরই একসময়কার মাদক–অস্ত্র মামলার আসামি ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা এম আলীম আকন ক্ষেপে যান। হুমকি-চাপ দিয়ে ভিডিও ডিলিট না করতে পারায়, তিনি এবার সাংবাদিককে বানালেন চাঁদাবাজি মামলার আসামি!

বাদীর অভিযোগ “প্রকাশ্য দিবালোকে ৯ জন সাক্ষীর সামনে ২ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছিল।” প্রশ্ন হচ্ছে এই সাক্ষীরা কারা? উত্তর সহজ: বাদীর আত্মীয়-স্বজন, মানে মামলার কাকাতো মামা-খালাতো ভাইয়েরা।

অন্য তিন আসামি সরাসরি বললেন,

“আমাদের জমিজমার বিরোধ আছে, তাই মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে। তদন্ত হয়নি, শুধু মুখের কথায় চার্জশিট!”

সাংবাদিক কাজী মামুনের বক্তব্য আরও কড়া

“এসআই শিহাব বাহাদুর আমাকে বাদীর সঙ্গে মিটমাট করতে বলে, সাথে কিছু ‘সালামি’ দিতে বলেন। আমি তখন তাকে চ্যালেঞ্জ করি,সিসিটিভি ফুটেজে আমার উপস্থিতি দেখান, তারপর কথা বলব। কোনো প্রমাণ না পেয়ে মামলা চেপে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই দেখি, আমার নামে চার্জশিট!”

বাহাদুর এসআই সাহেব (বিপি নং-৮৬১৪১৬৬১৪৭, মোবাইল ০১৭১৩৯৬০৭৬০) সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি। ফোন করলেই কল কেটে দেন। হয়তো কল কাটাও এখন তার একমাত্র ‘তদন্ত দক্ষতা’।

প্রশ্ন উঠছে…

এটাই কি পুলিশের তদন্ত?

প্রমাণহীন অভিযোগে সাংবাদিককে ফাঁসানোই কি এখন কর্তব্য?নাকি আসলেই ‘সালামির গন্ধ’ ছাড়া নড়াচড়া করেন না কেউ কেউ? পটুয়াখালীবাসী উত্তর চাইছে। সাংবাদিক সমাজ বলছে..এটা শুধু একজনের বিরুদ্ধে নয়, সত্য প্রকাশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

জনপ্রিয়

বরিশালে শিক্ষার নামে “দুর্নীতির ইঞ্জিনিয়ারিং”! শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ!

সালামির গন্ধে মনগড়া তদন্ত: সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট!

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।সাংবাদিক দমন এখন পুলিশের নতুন শখ নাকি?পটুয়াখালীতে সংবাদ প্রকাশের অপরাধে সাংবাদিক কাজী মামুনের নামে সাজানো মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে সদর থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর। আশ্চর্যের ব্যাপার,প্রমাণ নেই, সিসিটিভি নেই, কল রেকর্ড নেই, শুধু বাদীর আত্মীয়-স্বজনদের মুখের কথা আর সালামির খিদে!

ঘটনার শুরু ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর। দৈনিক নবচেতনা, ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস ও নিউজ ২১ বাংলা টেলিভিশনের সাংবাদিক কাজী মামুন স্থানীয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এরপরই একসময়কার মাদক–অস্ত্র মামলার আসামি ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা এম আলীম আকন ক্ষেপে যান। হুমকি-চাপ দিয়ে ভিডিও ডিলিট না করতে পারায়, তিনি এবার সাংবাদিককে বানালেন চাঁদাবাজি মামলার আসামি!

বাদীর অভিযোগ “প্রকাশ্য দিবালোকে ৯ জন সাক্ষীর সামনে ২ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছিল।” প্রশ্ন হচ্ছে এই সাক্ষীরা কারা? উত্তর সহজ: বাদীর আত্মীয়-স্বজন, মানে মামলার কাকাতো মামা-খালাতো ভাইয়েরা।

অন্য তিন আসামি সরাসরি বললেন,

“আমাদের জমিজমার বিরোধ আছে, তাই মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে। তদন্ত হয়নি, শুধু মুখের কথায় চার্জশিট!”

সাংবাদিক কাজী মামুনের বক্তব্য আরও কড়া

“এসআই শিহাব বাহাদুর আমাকে বাদীর সঙ্গে মিটমাট করতে বলে, সাথে কিছু ‘সালামি’ দিতে বলেন। আমি তখন তাকে চ্যালেঞ্জ করি,সিসিটিভি ফুটেজে আমার উপস্থিতি দেখান, তারপর কথা বলব। কোনো প্রমাণ না পেয়ে মামলা চেপে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই দেখি, আমার নামে চার্জশিট!”

বাহাদুর এসআই সাহেব (বিপি নং-৮৬১৪১৬৬১৪৭, মোবাইল ০১৭১৩৯৬০৭৬০) সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি। ফোন করলেই কল কেটে দেন। হয়তো কল কাটাও এখন তার একমাত্র ‘তদন্ত দক্ষতা’।

প্রশ্ন উঠছে…

এটাই কি পুলিশের তদন্ত?

প্রমাণহীন অভিযোগে সাংবাদিককে ফাঁসানোই কি এখন কর্তব্য?নাকি আসলেই ‘সালামির গন্ধ’ ছাড়া নড়াচড়া করেন না কেউ কেউ? পটুয়াখালীবাসী উত্তর চাইছে। সাংবাদিক সমাজ বলছে..এটা শুধু একজনের বিরুদ্ধে নয়, সত্য প্রকাশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।