নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশালের সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা এক সময় দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
জেনারেল শিক্ষক দিয়ে অধ্যক্ষের দায়িত্ব…
ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভঙ্গ করে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে বাস্তবে মাদ্রাসার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন আরবী বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম, যিনি একসময় আওয়ামীপন্থী হলেও এখন জামায়াতঘনিষ্ঠ পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন।
পুর্নাঙ্গ কমিটি নেই, মামলা অজুহাত…
বর্তমানে জেলা প্রশাসকের অধীনে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে মাদ্রাসাটি চলছে। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা হয়নি। সাবেক অধ্যক্ষের দায়ের করা রীট মামলার অজুহাতে প্রক্রিয়া ঝুলে আছে।
অধ্যক্ষ হওয়ার পাঁয়তারা…
অভিযোগ রয়েছে, আবুল কালাম নিজেকে অধ্যক্ষ বানাতে নানান অপকৌশল চালাচ্ছেন। অতীতে দুর্নীতির অভিযোগে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে বাদ পড়েছিলেন। তবুও বর্তমানে সর্বময় ক্ষমতা তার হাতেই।
বরাদ্দের অর্থে কারসাজি…
সম্প্রতি সরকার থেকে বরাদ্দ দেয়া ৫ লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনকে আপ্যায়নের নামে। অথচ শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণীকক্ষের ভয়াবহ সংকট বিদ্যমান।
শ্রেণীকক্ষ সংকটে নতুন বিভাগ!…
ইতিমধ্যেই আলিম ও কামিলের শ্রেণী দিতে না পারলেও নতুন করে হাদিস, তাফসির, অনার্স ও বিএসসি বিভাগ চালুর আবেদন করা হয়েছে। স্থানীয়রা একে ‘শিক্ষার নামে অর্থ লুটপাটের ফাঁদ’ বলছেন।
প্রশাসনের বক্তব্য…
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার কারণে কমিটি গঠন বিলম্বিত হয়েছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়া অধ্যক্ষ নিয়োগ বৈধ নয়।