নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশালে আদালত পাড়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার মামলার পাঁচ মাস পার। মামলা আছে, বাদী আছে, আসামির নাম আছে, এমনকি আহত সাংবাদিক এখনো কষ্টে হাঁটেন,শুধু নেই আসামি ধরা।
মজার ব্যাপার হলো, এ মামলার আসামিরা গায়েব হয়ে যায় না, বরং দিব্যি শহরে ঘোরাঘুরি করে, রাজনৈতিক সভায় হাততালি দেয়, চায়ের দোকানে আড্ডা জমায়। কিন্তু পুলিশের চোখে তারা অদৃশ্য।কী আশ্চর্য! সাংবাদিক মারলে আসামি মিলিয়ে যায় অদৃশ্য পেশীশক্তির নাটকে!
পুলিশ কমিশনার নির্দেশ দেন, মামলা হবে, আসামি ধরা হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা এরকম,আসামিরা পুলিশের পকেটের ভেতর ঢুকে থাকে। যেনো তারা জাদুর খেলা করছে,বেরিয়ে এলো মিছিল থেকে, আবার মিলিয়ে গেলো থানার আড়ালে!
রিপোর্টার্স ইউনিটির সেক্রেটারী খালিদ সাইফুল্লাহ হতাশ গলায় বললেন, “এই মামলার কোনো ভবিষ্যৎ দেখছি না। মনে হচ্ছে পুলিশই তাদের আশ্রয় দিচ্ছে।”এমন বক্তব্য শুনে জনমনে প্রশ্ন,তাহলে আইন কি পুলিশের হাতে, নাকি অদৃশ্য পেশীশক্তির পেছনে?
আর বিএনপি নেতাদের নাটকীয়তা দেখার মতো। বললেন, “আমরা দায় নেব না।” অথচ আহত সাংবাদিকদের হাসপাতালে গিয়ে দেখালেন সহানুভূতি। আসামি আড়ালে, দায় ঝেড়ে ফেলা হলো, শুধু নাটকের মঞ্চটা পাল্টে গেল।
সব মিলিয়ে এ যেনো এক অসমাপ্ত নাটক,যেখানে সাংবাদিকরা দর্শক, পুলিশ মঞ্চ ব্যবস্থাপক, আর আসামিরা অভিনয় করছে অদৃশ্য চরিত্রে।