নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রোগী সেবার মানোন্নয়নে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। টানা দুই সপ্তাহ ধরে চলা ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর এসব পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।
প্রধান পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে—অর্থ আদায়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবী ট্রলি ম্যান বহিষ্কার, সরকারি স্টাফ নিয়োগ, পুরাতন ট্রলি মেরামত, নতুন ট্রলি সংযোজন, ৭টি মনিটরিং টিম গঠন, ১০০ সিলিং ফ্যান ও ২০ স্প্রে মেশিন স্থাপন, টয়লেট সংস্কার, নতুন ১০০ বেড বসানো, দালাল-প্রতারক আটক, ওষুধ কোম্পানির অবাধ প্রবেশ রোধ এবং অভিযোগের ভিত্তিতে স্টাফ বরখাস্ত।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে,৪৬০ শয্যার ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র ২০২৬ সালের মার্চে চালু, বরিশাল শিশু হাসপাতাল ডিসেম্বরের মধ্যে হস্তান্তর, চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ, জরুরি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং লিলেন প্লান্ট আধুনিকায়ন।
১৯৬৮ সালে ৫০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করা শেবাচিমে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে, যা অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতায় বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।