নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশালের যারা রাজপথে দাঁড়িয়ে জীবন বাজি রেখে প্রতিবাদের ছবি তুলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের লাঠি-গুলির মুখে থেকেও নির্ভীকভাবে রিপোর্ট করেছেন,তাঁদের অবদান আজও সাংবাদিক অঙ্গনে অবমূল্যায়িত। বরং যারা বছরের পর বছর দালালি করে শহীদদের রক্ত ও আহতদের কান্নার ওপর পা রেখে আজ ‘বিপ্লবের কণ্ঠস্বর’ সেজেছে, তাদেরই দৌরাত্ম্য চলছে পদক ও ক্ষমতাসীন মহলের আশেপাশে।
গত বছরের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। ১৬ জুলাই কয়েকজন ছাত্র পুলিশের গুলিতে নিহত হলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। ঠিক সেই সময় গণ-অভ্যুত্থানের মাঠ পর্যায়ের বাস্তব চিত্র তুলতে গিয়ে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন বরিশালের সাহসী সাংবাদিক শামীম আহমেদ।
ভুক্তভোগী শামীম আহমেদ জানান, ১৫ থেকে ২০ জনের একটি পুলিশ দল একসাথে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “আমি তো সাংবাদিক, আমাকে মারছেন কেন?”
বর্তমানে শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ এই প্রবীণ সাংবাদিক সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেন, “তোমরা আমার জন্য দোয়া করো, আমি যেন আবার সুস্থ হয়ে তোমাদের কাছে ফিরতে পারি।”
শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও মনোবল এখনও অটুট তাঁর। সাংবাদিক মহলসহ সচেতন সমাজ তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।