বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রারকে হুমকি ও অপপ্রচারের শিকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপ-রেজিস্ট্রার বরুণ কুমার দে এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি কুচক্রী মহল উপ-রেজিস্ট্রার বরুণ কুমার দে-কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। বরুণ কুমার দে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তিনদিন পর তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক ভিডিও ছড়ানো হয়।
উপ-রেজিস্ট্রার বলেন, “গত ২০ জুলাই শনিবার, সহকর্মী মাসরুফা হাসানের অনুরোধে তার বাসা থেকে একটি জরুরি নথি আনতে গেলে সাংবাদিক পরিচয়ধারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী এম এম বাকি বিল্লাহ ও যাবের আকন হঠাৎ করেই আমার বাসার দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। আমি নিরাপত্তা ঝুঁকি অনুভব করায় দরজা খুলি না। পরে আমার আত্মীয় ও আইন বিভাগের ছাত্র মাইনুল ইসলামকে ফোন করলে সে এসে দরজা খোলে। এরপর ওই দুইজন ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালায় এবং নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।”
তিনি আরও জানান, ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনা রেকর্ড আছে এবং চাঁদা দাবির কথোপকথনের অডিও রেকর্ডও সাক্ষী হিসেবে রয়েছে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জানান, “আমি বরুণ স্যারের ফোন পেয়ে সেখানে যাই এবং দেখি স্যার একাই বাসায় ছিলেন। এরপর তথাকথিত সাংবাদিকেরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। আমি প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে আমারও বাকবিতণ্ডা হয়।”
সহকর্মী মাসরুফা হাসান বলেন, “আমি সেদিন অফিসে ছিলাম এবং বরুণ স্যারকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ আনতে বাসায় পাঠাই। এরপর ওই দুই ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে বাসায় ঢুকে তল্লাশি চালায় এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আমি এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।”
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এম এম বাকি বিল্লাহ বলেন, “আমরা সাংবাদিক হিসেবে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
অপর অভিযুক্ত জাবের আকন বলেন, “আমি ছাত্র হিসেবে গিয়েছিলাম, সাংবাদিক নই। তল্লাশি চলাকালে কেয়ারটেকার সাথে ছিলেন।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বরুণ কুমার দে পূর্বে অডিট সেলের প্রধান ছিলেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করায় একটি দুর্নীতিপরায়ণ গোষ্ঠী তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
বর্তমানে বরুণ কুমার দে বিষয়টি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন এবং আইনি সহায়তা গ্রহণের প্রক্রিয়ায় আছেন।