, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বরিশালে শিক্ষার নামে “দুর্নীতির ইঞ্জিনিয়ারিং”! শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ! ফুলের তোড়া থেকে শুরু, টিভি-ল্যাপটপে শেষ – নুরুল ইসলাম আবারো জিলা স্কুলের হিরো! এতিমদের সাথে ‘বরিশাল বাণী’ পরিবারের নৈশভোজ বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল সদর হাসপাতাল! “চিকিৎসা নাই, সিকিউরিটি নাই, শুধু চোরের ডাক্তারখানা!” কাশীপুরে বাবার নামে ছেলের ‘প্রেমকাহিনি’তে রক্ত গরম!ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা, টাকা উধাও! বরিশালে “ধর্ষণ-ভিডিও ইন্ডাস্ট্রি”র নতুন নায়িকা মীম! বরিশালে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত নলছিটিতে প্রেসক্লাব ভবনে চাঁদাবাজদের দাপট! বরিশাল সিটিতে দাওয়াতে ইসলামীর বৃহত্তর জশ‌নে জুলুস 
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

বরিশালে চাঁদা দাবির অভিযোগে অভিযুক্ত নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা!

  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ৭০৭ পড়া হয়েছে

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রারকে হুমকি ও অপপ্রচারের শিকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপ-রেজিস্ট্রার বরুণ কুমার দে এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি কুচক্রী মহল উপ-রেজিস্ট্রার বরুণ কুমার দে-কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। বরুণ কুমার দে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তিনদিন পর তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক ভিডিও ছড়ানো হয়।

উপ-রেজিস্ট্রার বলেন, “গত ২০ জুলাই শনিবার, সহকর্মী মাসরুফা হাসানের অনুরোধে তার বাসা থেকে একটি জরুরি নথি আনতে গেলে সাংবাদিক পরিচয়ধারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী এম এম বাকি বিল্লাহ ও যাবের আকন হঠাৎ করেই আমার বাসার দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। আমি নিরাপত্তা ঝুঁকি অনুভব করায় দরজা খুলি না। পরে আমার আত্মীয় ও আইন বিভাগের ছাত্র মাইনুল ইসলামকে ফোন করলে সে এসে দরজা খোলে। এরপর ওই দুইজন ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালায় এবং নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।”

তিনি আরও জানান, ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনা রেকর্ড আছে এবং চাঁদা দাবির কথোপকথনের অডিও রেকর্ডও সাক্ষী হিসেবে রয়েছে।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জানান, “আমি বরুণ স্যারের ফোন পেয়ে সেখানে যাই এবং দেখি স্যার একাই বাসায় ছিলেন। এরপর তথাকথিত সাংবাদিকেরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। আমি প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে আমারও বাকবিতণ্ডা হয়।”

সহকর্মী মাসরুফা হাসান বলেন, “আমি সেদিন অফিসে ছিলাম এবং বরুণ স্যারকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ আনতে বাসায় পাঠাই। এরপর ওই দুই ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে বাসায় ঢুকে তল্লাশি চালায় এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আমি এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।”

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এম এম বাকি বিল্লাহ বলেন, “আমরা সাংবাদিক হিসেবে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

অপর অভিযুক্ত জাবের আকন বলেন, “আমি ছাত্র হিসেবে গিয়েছিলাম, সাংবাদিক নই। তল্লাশি চলাকালে কেয়ারটেকার সাথে ছিলেন।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বরুণ কুমার দে পূর্বে অডিট সেলের প্রধান ছিলেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করায় একটি দুর্নীতিপরায়ণ গোষ্ঠী তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

বর্তমানে বরুণ কুমার দে বিষয়টি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন এবং আইনি সহায়তা গ্রহণের প্রক্রিয়ায় আছেন।

 

জনপ্রিয়

বরিশালে শিক্ষার নামে “দুর্নীতির ইঞ্জিনিয়ারিং”! শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ!

বরিশালে চাঁদা দাবির অভিযোগে অভিযুক্ত নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা!

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রারকে হুমকি ও অপপ্রচারের শিকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপ-রেজিস্ট্রার বরুণ কুমার দে এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি কুচক্রী মহল উপ-রেজিস্ট্রার বরুণ কুমার দে-কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। বরুণ কুমার দে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তিনদিন পর তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক ভিডিও ছড়ানো হয়।

উপ-রেজিস্ট্রার বলেন, “গত ২০ জুলাই শনিবার, সহকর্মী মাসরুফা হাসানের অনুরোধে তার বাসা থেকে একটি জরুরি নথি আনতে গেলে সাংবাদিক পরিচয়ধারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী এম এম বাকি বিল্লাহ ও যাবের আকন হঠাৎ করেই আমার বাসার দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। আমি নিরাপত্তা ঝুঁকি অনুভব করায় দরজা খুলি না। পরে আমার আত্মীয় ও আইন বিভাগের ছাত্র মাইনুল ইসলামকে ফোন করলে সে এসে দরজা খোলে। এরপর ওই দুইজন ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালায় এবং নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।”

তিনি আরও জানান, ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনা রেকর্ড আছে এবং চাঁদা দাবির কথোপকথনের অডিও রেকর্ডও সাক্ষী হিসেবে রয়েছে।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জানান, “আমি বরুণ স্যারের ফোন পেয়ে সেখানে যাই এবং দেখি স্যার একাই বাসায় ছিলেন। এরপর তথাকথিত সাংবাদিকেরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। আমি প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে আমারও বাকবিতণ্ডা হয়।”

সহকর্মী মাসরুফা হাসান বলেন, “আমি সেদিন অফিসে ছিলাম এবং বরুণ স্যারকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ আনতে বাসায় পাঠাই। এরপর ওই দুই ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে বাসায় ঢুকে তল্লাশি চালায় এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আমি এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।”

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এম এম বাকি বিল্লাহ বলেন, “আমরা সাংবাদিক হিসেবে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

অপর অভিযুক্ত জাবের আকন বলেন, “আমি ছাত্র হিসেবে গিয়েছিলাম, সাংবাদিক নই। তল্লাশি চলাকালে কেয়ারটেকার সাথে ছিলেন।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বরুণ কুমার দে পূর্বে অডিট সেলের প্রধান ছিলেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করায় একটি দুর্নীতিপরায়ণ গোষ্ঠী তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

বর্তমানে বরুণ কুমার দে বিষয়টি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন এবং আইনি সহায়তা গ্রহণের প্রক্রিয়ায় আছেন।