নিজস্ব প্রতিবেদক।। ভোলা জেলার সদর রাজাপুর এলাকায় ক্যারাম বোর্ড খেলা কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রতিবন্ধী, নারী, পুরুষ সহ ৯ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইসমাইল হোসেন (২৫) বুধবার রাত ৭ টার দিকে সার্জারি ওয়ার্ডে মৃত্যু হয়। সে রাজাপুরের শ্যামপুর গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হারুন বেপারীর ছেলে।
এবং আহত অন্যান্যরা হলো ইসমাইলের বোন বিউটি বেগম এবং ফুফাতো বোন খাদিজা, ফুফু পারভিন বেগম, বড় ভাই ইব্রাহিম, ভাগিনা সাগর, ভাবি মরিয়ম বেগম, চাচি কুলসুম বেগম এবং মানসিক প্রতিবন্ধী রুমা বেগম।। এদের মধ্যে বিউটি ও খাদিজা ও শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্যান্যরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ইসমাইলের ভগ্নিপতি মাইদুল ইসলাম জানান, ইসমাইলের বোন রুমা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী। ঘটনার দিন গত সোমবার আসরের পর শ্যামপুর এলাকায় দোকানের সামনে এলাকার কিছু স্থানীয় লোকজন ক্যারামবোর্ড খেলে। সেখানে হঠাৎ ইসমাইলের মানসিক প্রতিবন্ধি বোন রুমা গিয়ে কেরাম বোর্ডের গুটি এলোমেলো করে দেয়।
এটাকে কেন্দ্র করে এক পর্যায় প্রতিবন্ধী রুমার উপর হামলা চালায় বজলু জমাদ্দারের ছেলে সবুজ সহ অজ্ঞাত কয়েকজন।
প্রতিবন্ধীর উপর হামলার বিষয়ের এলাকাবাসী সহ প্রতিবন্ধীর আত্মীয়-স্বজনরা প্রতিবাদ করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবন্ধী রুমার ভাই ইসমাইল, ইব্রাহিম, বোন বিউটি, ফুফাতো বোন খাদিজা, ফুফু পারবীন, ভাগিনা সাগর, ভাবি মরিয়ম, আরো কয়েকজনের উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ মফিজ সবুজ, বজলু জমাদার, মিজান, কামাল বেপারী, আসমা বেগম, বকুলি বেগম, লাইজু বেগম, শেফালী বেগম, সহ ১৫-২০ জন সহযোগী।
স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন এদের মধ্যে ইসমাইল, বিউটি ও খাদিজার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ১১ জুন রাত সাতটার দিকে ইসমাইল সার্জারি ওয়ার্ডে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এ বিষয় ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাহাদাৎ মোঃ হাচনাইন পারভেজ
জানান, ক্যারাম বোর্ড খেলা কে কেন্দ্র করে একজন নিহত হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান।