, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বরিশালে শিক্ষার নামে “দুর্নীতির ইঞ্জিনিয়ারিং”! শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ! ফুলের তোড়া থেকে শুরু, টিভি-ল্যাপটপে শেষ – নুরুল ইসলাম আবারো জিলা স্কুলের হিরো! এতিমদের সাথে ‘বরিশাল বাণী’ পরিবারের নৈশভোজ বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল সদর হাসপাতাল! “চিকিৎসা নাই, সিকিউরিটি নাই, শুধু চোরের ডাক্তারখানা!” কাশীপুরে বাবার নামে ছেলের ‘প্রেমকাহিনি’তে রক্ত গরম!ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা, টাকা উধাও! বরিশালে “ধর্ষণ-ভিডিও ইন্ডাস্ট্রি”র নতুন নায়িকা মীম! বরিশালে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত নলছিটিতে প্রেসক্লাব ভবনে চাঁদাবাজদের দাপট! বরিশাল সিটিতে দাওয়াতে ইসলামীর বৃহত্তর জশ‌নে জুলুস 
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

বরিশাল লাগোয়া সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের জড়িতরা এখনো ধরা-ছোয়ার বাহিরে!অথচ পুলিশ নিরব ভূমিকায়।

  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • ২২৩ পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধি।।বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ খালপাড় লাগোয়া সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে সমন্বয় ও সেনাবাহিনী পরিচয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, শুরু থেকেই থানা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। হামলার সিসিটিভি ফুটেজ সহ যথেষ্ট প্রমাণ থাকার পরও পুলিশের নিরব ভুমিকায় থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঘটনার পর থেকে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা দাবড়িয়ে বেড়ালেও পুলিশ এদের গ্রেপ্তার করছে না।

তারা বলছেন, থানায় এ বিষয়ে প্রথমে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও তারা এটি আমলে নেয়নি। এর ফলে তারা আদালতের শরনাপন্ন হন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে থানায় এফআইআর করার নির্দেশ দেন। ৪ জুন আদালতের নির্দেশের পরও থানা পুলিশের ঘুম ভাঙ্গেনি। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কালক্ষেপন সহ নানা নাটকীয়তা করছেন বলে মন্তব্য করেন মামলার বাদী সাংবাদিক আকতার হোসেন খোকা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আকতার হোসেন খোকা বাদী হয়ে সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলা লুটপাটের ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৪ জুন বিমান বন্দর থানার ওসিকে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলায় বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের বহুল বিতর্কিত নেতা রাসেল আকন, সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী শাওন, নথুল্লাবাদ এলাকার আলাউদ্দিন আলাল, ওয়েস্টার্ন ফার্মেসির মালিক আবদুস সালামকে নামধারী সহ ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়।

একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট বরিশাল মহানগর ছাত্রদল নেতা রাসেলকে ইয়াবাসহ র‍্যাব-৮ আটক করে। এছাড়া, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর রাতে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকায় ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছিল বহু অন্যায় অপকর্মের অনুঘটক ছাত্রদল নেতা রাসেল আকনকে।

১৫ জুন বিমান বন্দর থানার ওসি জাকির সিকদারের কাছে সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে হামলার ঘটনায় আদালত থেকে কোন নির্দেশনা আসছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অর্ডারের কপি পাইনি। তবে আমি এখনই বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি বলে মন্তব্য করেন তিনি। অথচ মামলার বাদী পক্ষ বলেছেন, আদেশের কপি থানার ওসির কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হয়।

১৬ জুন আদেশের কপি থানায় পৌঁছেছে কিনা আবার জানতে চাইলে ওসি বলেন, হ্যা পেয়েছি। কবে রিসিভ করেছেন এরকম প্রশ্নের জবাবে বলেন, আজকে রিসিভ করেছি। এটার তদন্তের দায়িত্বে কাউকে ন্যাস্ত করেছেন কিনা এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাকে দেওয়া হয়েছে এরকম প্রশ্নের জবাবে বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম জানতে চাইলে বলেন, পরে জানতে পারবেন।
মামলার তদন্তকারী কমকর্তা আল আমিন সাংবাদিককে বলেন, ১৭ জুন মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। তিনি বলেন, তদন্তের কাজ অলরেডি শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত মামলার কোন আসামি গ্রেপ্তার নেই বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটের স্বত্তাধিকারী ইস্তাফিজুর রহমান মুন্না বলেন, থানা পুলিশ আদালতের আদেশের কপি ৬ জুন রিসিভ করেছেন।

এদিকে, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটে অংশ নেওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মাহাদী হাসান সাইমুন। পশ্চিম কাউনিয়া হাজেরা খাতুন স্কুল সংলগ্ন সাইমুন সাউন্ড সিস্টেম এন্ড লাইটিং এর দোকান রয়েছে এই যুবকের। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে মাহাদী হাসান সাইমুনকে হামলায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমন্বয়ক ও সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ৩০ মে রাতে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্টান্ডের খালপাড় লাগোয়া সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এসময় সেখান থেকে নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে তারা। সংঘবদ্ধ চক্রের হামলায় ৪ জন গুরুতর জখম হয়েছে। ওই রাতে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহতরা হলেন- পূর্ব পাংশা গ্রামের মো. শাহজাহান হাওলাদারের পুত্র সাংবাদিক আক্তার হোসেন খোকা (৪৮), নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড দরগাবাড়ি এলাকার মো. অলিউল ইসলামের পুত্র ব্যবসায়ী মাসুদ (৫৪), নথুল্লাবাদ শের-ই-বাংলা সড়ক এলাকার বাসিন্দা মৃত.আ. সত্তার খানের পুত্র প্রবাসী জিন্না খান (৫২) ও এম. এ কামাল হাওলাদারের পুত্র ব্যবসায়ী জুয়েল হাওলাদার (৪৮)।
হামলায় গুরুতর আহত আকতার হোসেন খোকা বলেন, আমরা মার্কেটের দোতালায় অফিস রুমে বসে নাস্তা খাচ্ছিলাম। এসময় গেট দিয়ে দোতালায় উঠে সমন্বয়ক ও সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একটি দল ধাড়লো অস্ত্র ও লাটিসোটা নিয়ে এলোপাথারীভাবে আমাদের ওপর আঘাত করে। এরপর তারা অফিস রুম থেকে নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ মালামাল, কাগজপত্র, মানিব্যাগ লুটে নেয়। এছাড়া মার্কেট থেকে একটি মোটরসাইকেল ও মালামাল লুট করে। তিনি বলেন, সমন্বয়ক পরিচয়দাকারী খান শাওন এবং নগরীতে নানা অপকর্মে বিতর্কিত ছাত্রদল নেতা রাসেল আকন ও সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয় প্রদানকারী যুবকসহ একটি দল হামলায় অংশ নেয়। আহতরা বলছেন, শাওন গত ৫ আগস্টের পর সমন্বয়ক পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে। তার নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

জনপ্রিয়

বরিশালে শিক্ষার নামে “দুর্নীতির ইঞ্জিনিয়ারিং”! শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ!

বরিশাল লাগোয়া সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের জড়িতরা এখনো ধরা-ছোয়ার বাহিরে!অথচ পুলিশ নিরব ভূমিকায়।

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

বরিশাল প্রতিনিধি।।বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ খালপাড় লাগোয়া সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে সমন্বয় ও সেনাবাহিনী পরিচয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, শুরু থেকেই থানা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। হামলার সিসিটিভি ফুটেজ সহ যথেষ্ট প্রমাণ থাকার পরও পুলিশের নিরব ভুমিকায় থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঘটনার পর থেকে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা দাবড়িয়ে বেড়ালেও পুলিশ এদের গ্রেপ্তার করছে না।

তারা বলছেন, থানায় এ বিষয়ে প্রথমে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও তারা এটি আমলে নেয়নি। এর ফলে তারা আদালতের শরনাপন্ন হন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে থানায় এফআইআর করার নির্দেশ দেন। ৪ জুন আদালতের নির্দেশের পরও থানা পুলিশের ঘুম ভাঙ্গেনি। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কালক্ষেপন সহ নানা নাটকীয়তা করছেন বলে মন্তব্য করেন মামলার বাদী সাংবাদিক আকতার হোসেন খোকা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আকতার হোসেন খোকা বাদী হয়ে সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলা লুটপাটের ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৪ জুন বিমান বন্দর থানার ওসিকে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলায় বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের বহুল বিতর্কিত নেতা রাসেল আকন, সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী শাওন, নথুল্লাবাদ এলাকার আলাউদ্দিন আলাল, ওয়েস্টার্ন ফার্মেসির মালিক আবদুস সালামকে নামধারী সহ ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়।

একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট বরিশাল মহানগর ছাত্রদল নেতা রাসেলকে ইয়াবাসহ র‍্যাব-৮ আটক করে। এছাড়া, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর রাতে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকায় ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছিল বহু অন্যায় অপকর্মের অনুঘটক ছাত্রদল নেতা রাসেল আকনকে।

১৫ জুন বিমান বন্দর থানার ওসি জাকির সিকদারের কাছে সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে হামলার ঘটনায় আদালত থেকে কোন নির্দেশনা আসছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অর্ডারের কপি পাইনি। তবে আমি এখনই বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি বলে মন্তব্য করেন তিনি। অথচ মামলার বাদী পক্ষ বলেছেন, আদেশের কপি থানার ওসির কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হয়।

১৬ জুন আদেশের কপি থানায় পৌঁছেছে কিনা আবার জানতে চাইলে ওসি বলেন, হ্যা পেয়েছি। কবে রিসিভ করেছেন এরকম প্রশ্নের জবাবে বলেন, আজকে রিসিভ করেছি। এটার তদন্তের দায়িত্বে কাউকে ন্যাস্ত করেছেন কিনা এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাকে দেওয়া হয়েছে এরকম প্রশ্নের জবাবে বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম জানতে চাইলে বলেন, পরে জানতে পারবেন।
মামলার তদন্তকারী কমকর্তা আল আমিন সাংবাদিককে বলেন, ১৭ জুন মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। তিনি বলেন, তদন্তের কাজ অলরেডি শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত মামলার কোন আসামি গ্রেপ্তার নেই বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটের স্বত্তাধিকারী ইস্তাফিজুর রহমান মুন্না বলেন, থানা পুলিশ আদালতের আদেশের কপি ৬ জুন রিসিভ করেছেন।

এদিকে, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটে অংশ নেওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মাহাদী হাসান সাইমুন। পশ্চিম কাউনিয়া হাজেরা খাতুন স্কুল সংলগ্ন সাইমুন সাউন্ড সিস্টেম এন্ড লাইটিং এর দোকান রয়েছে এই যুবকের। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে মাহাদী হাসান সাইমুনকে হামলায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমন্বয়ক ও সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ৩০ মে রাতে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্টান্ডের খালপাড় লাগোয়া সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এসময় সেখান থেকে নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে তারা। সংঘবদ্ধ চক্রের হামলায় ৪ জন গুরুতর জখম হয়েছে। ওই রাতে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহতরা হলেন- পূর্ব পাংশা গ্রামের মো. শাহজাহান হাওলাদারের পুত্র সাংবাদিক আক্তার হোসেন খোকা (৪৮), নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড দরগাবাড়ি এলাকার মো. অলিউল ইসলামের পুত্র ব্যবসায়ী মাসুদ (৫৪), নথুল্লাবাদ শের-ই-বাংলা সড়ক এলাকার বাসিন্দা মৃত.আ. সত্তার খানের পুত্র প্রবাসী জিন্না খান (৫২) ও এম. এ কামাল হাওলাদারের পুত্র ব্যবসায়ী জুয়েল হাওলাদার (৪৮)।
হামলায় গুরুতর আহত আকতার হোসেন খোকা বলেন, আমরা মার্কেটের দোতালায় অফিস রুমে বসে নাস্তা খাচ্ছিলাম। এসময় গেট দিয়ে দোতালায় উঠে সমন্বয়ক ও সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একটি দল ধাড়লো অস্ত্র ও লাটিসোটা নিয়ে এলোপাথারীভাবে আমাদের ওপর আঘাত করে। এরপর তারা অফিস রুম থেকে নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ মালামাল, কাগজপত্র, মানিব্যাগ লুটে নেয়। এছাড়া মার্কেট থেকে একটি মোটরসাইকেল ও মালামাল লুট করে। তিনি বলেন, সমন্বয়ক পরিচয়দাকারী খান শাওন এবং নগরীতে নানা অপকর্মে বিতর্কিত ছাত্রদল নেতা রাসেল আকন ও সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয় প্রদানকারী যুবকসহ একটি দল হামলায় অংশ নেয়। আহতরা বলছেন, শাওন গত ৫ আগস্টের পর সমন্বয়ক পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে। তার নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।