বরিশাল অফিস।। গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বরিশালের মুলাদী উপজেলায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও জমিদখলের নিয়ন্ত্রণ যাদের হাতে তাদের মধ্যে অন্যতম মুলাদী উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব কাজী কামাল। তিনি তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন পুরো উপজেলা। জোরপূর্বক জমি দখল, নদী থেকে বালু লুট, টেন্ডার বানিজ্য, দোকানে চাঁদাবাজি, জিম্মি করে টাকা আদায় সহ নানান অপকর্মের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন শফিকুল ইসলাম শাওন হাওলাদার,সদস্য সচিব, মুলাদি পৌর যুবদল, শরিয়াতউল্লা প্রফেসর আহবায়ক, মুলাদী উপজেলা, বিএনপি, সদস্য সচিব, মুলাদী পৌর বিএনপি, হাবিবুর রহমান (সাবু হাওলাদার) ১ নং যুগ্ম আহবায়ক, ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পরবর্তীতে তাদের কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বরারব নির্যাতিত, নিপিড়ীত এলাকাবাসীর পক্ষে একখানা অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ বেল্লাহ হাওলাদার, পিতাঃ মৃত সান্টু হাওলাদার, সদস্য-মুলাদি উপজেলা বিএনপি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের এর (০৭ টি) এর কাছ থেকে সরকারী ভিজিএফ কার্ড এর ৫৫% নিয়েছে। প্রতিটি কার্ড ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় তারা অন্যদের কাছে বিক্রি করেছে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেতে তারা ১০-১২ লক্ষ টাকা নিয়েছে। যে দুজন চেয়ারম্যান টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে অনের ইউনিয়ন পরিষদ, সরকার দ্বারা নির্ধারিত লোক দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা হচ্ছে। এভাবে তারা বিএনপির দলের নাম ভাঙ্গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কাজী কামাল, সদস্য সচিব মুলাদী উপজেলা বিএনপি এবং শাওন হাওলাদার, সদস্য সচিব, মূলাদি পৌর যুবদল, এর নের্তৃত্বে হয়েছে।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানার বাসাবাড়ী এবং দোকারপাটে তালা লাগিয়ে এবং ভাঙ্গার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এই কাজে, কাজী কামাল, সদস্য সচিব মুলাদী উপজেলা বিএনপি এবং শাওন হাওলাদার, সদস্য সচিব, মুলাদি পৌর যুবদল, মোঃ মিজান হাওলাদার, সদস্য সচিব, দুলাদী পৌর বিএনপি এর নের্তৃত্বে হয়েছে।
মুলাদী কলেজের প্রিন্সিপাল, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ এর পরে ১ মাস পলাতক ছিলেন। পরে জুলাই ২০২৪ সালের কাজী কামাল, সদস্য সচিব মুলাদী উপজেলা বিএনপি এবং শাওন হাওলাদার, সদস্য সচিব, দুলাদি পৌর যুবদল মোঃ মিজান হাওলাদার, সদস্য সচিব, মুলাদী পৌর বিএনপি, পাবু হাওলাদার এবং রফিক মিলে ওই নুলার্দী কলেজের অধ্যাক্ষের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
মুলাদী লঞ্জঘাটে কাজী কামাল এবং মিজান হাওলাদার মিলে আওমীলীগ পন্থীদের সাথে নিয়ে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং আওয়ামীলীগ গ্রুপ মিলে এখনও লঙ্ঘাটের টাকা পয়সা ভোগ দখল করছে।
মীরগঞ্জ ফেরীঘাট থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছে এবং তাদের কিছু শেয়ার জোর করে নিয়েছে। কাজী কামাল, সদস্য সচিব মুলাদী উপজেলা বিএনপি এবং শাওন হাওলাদার, সদস্য সচিব, মুলাদি পৌর যুবদল মোঃ মিজান হাওলাদার, সদস্য সচিব, মুলাদী পৌর বিএনপি, পাবু হাওলাদার সহ সবাই মীরগঞ্জ ফেরীঘাট থেকে নিয়মিত চাঁদা নিচ্ছে।
মুলাদী বন্দরে দোকানপাটে তালা লাগিয়ে রেখে দোকান মালিকদের থেকে টাকা নিয়ে দোকান চালু করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যারা টাকা দেয়নি তাদের দোকান খোলার অনুমতি মিলেনি। কাজী কামাল, সদস্য সচিব মুলাদী উপজেলা বিএনপি এবং শাওন হাওলাদার, সদস্য সচিব, মুলানি পৌর যুবদল এর কাজের নেতৃেতে।
৪টি ড্রেজার ধারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন যার ফলে নদীর দুই পাশ ভেঙ্গে নদীর গর্তে চলে যাচ্ছে। যার ফলে গরীব দুখী মানুষের ফসলের জমি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসসকে বলেও কোন লাভ হয়নি।
মুলাদী উপজেলার প্রত্যেকটি সরকারী অফিসে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অত্যাচারে অতিষ্ট। মুলাদী পৌরসভার বাজেটের ২২ কোটি টাকার কাজের ৪ কোটি টাকা নগদ তারা হাতিয়ে নিয়েছে।
মুলাদী প্রেসক্লাবের সভাপতি সুমন রাড়ীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি মুলাদী পৌর সভার আওয়ামীলীগের সদস্য সরিখ। তিনি আওয়ামীলীগের আমলে ১৬ বন্ধর সভাপতি ছিলেন।
মুলাদী বাদের ওপর সরকারী টয়লেট যা আওয়ামীলীগের আমলে তৈরি হয়েছে। এই সরকারি টয়লেট বন্ধ করে সে খানে ইল্টি কুটুম নামে একটি রেসটুরেন্ট করে ওলামালীগের আব্দুর রব কমিশনার বিগত আওয়ামীলীগের ১৭ বছর ভোগ নখল করেছে। ০৫ আগস্ট ২০১৪ এর পরে তার কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকেই আবার ওই রেস্টুেরেন্ট চালানোর ব্যবস্থা করে দেয়।
মুলাদী পৌরসভার সাবেক মেয়র শফিকুজ্জামান রুবেল এর ব্যবসা বানিজ্য এবং বাড়ি ঘর ভাঙ্গার হুমকি দিয়ে নগদ ১৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। কাজী কামাল, সদস্য সচিব মুলাদী উপজেলা বিএনপি এবং পাগুন হাওলাদার, সদস্য সচিব, মুলাদি পৌর যুবদল মোঃ মিজান হাওলাদার, সদস্য সচিব, মুলাদী পৌর বিএনপি, পাবু হাওলাদার এর নের্তৃত্বে এই কাজ করা হয়।
মুলাদী থানার পুলিশ এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছেন। গ্রামের নীরিহ লোকজন থানা পুলিশের কাছে গেলে এই সন্ত্রাসী গ্রুপের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশ, সন্ত্রাসীদের কথা মত কাজ করে। গাছুয়া ইউনিয়নের সরকারী পুকুরপাড়ে মনসুর নামে এক লোক তিনি বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। তার জমি ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পালীসি করে প্রতিপক্ষের অনুকূলে পক্ষে রায় দিয়ে যান।
পরিশেষে একটি কথা না বল্লেই নয় যে, কাজী কামাল, এবং শাওন ০৫ আগস্ট ২০২৪ এর আগে আওয়ামীলীগ এবং জাতীয় পার্টির সাথে লিয়াজো করে সংসদ সদস্য নির্বাচন করে গোলাম কিবরিয়া টিপুর কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছে। যার মাধ্যম ছিল আরিফ কমিশনার, সদস্য সচিব জাতীয় পার্টি।
কাজী অমাল এবং শাওন মিলে হিজলা এলাকায় নতুন ০২টি ইটের ভাটা চালু করেছে। যার আনুমানিক মূল্য ০৩ কোটি টাকা। ০৫ আগস্ট ২০২৪ সালের আগেও তাদের পকেটে ৫০ টাকাও থাকতো না। কিন্তু ০৫ আগস্ট ২০২৪ সালের পর থেকে তারা হঠাৎ শিল্পপতী হয়
এদের সবাইকে এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন (ভাইস চেয়ারম্যান-বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ভাইস প্রেসিডেন্ট-বিএনপি, প্রেসিডেন্ট- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম) নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। এবং এরা সবাই এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন এর ক্যাডার হিসেবে কাজ করে। গ্রামের লোকজন বলাবলি করছে যে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কামানো টাকার একটি অংশ এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন পেয়ে থাকেন।
কাজী অমাল এবং শাওন মিলে হিজলা এলাকায় নতুন ০২টি ইটের ভাটা চালু করেছে। যার আনুমানিক মূল্য ০৩ কোটি টাকা। ০৫ আগস্ট ২০২৪ সালের আগেও তাদের পকেটে ৫০ টাকাও থাকতো না। কিন্তু ০৫ আগস্ট ২০২৪ সালের পর থেকে তারা হঠাৎ শিল্পপতী বনেছেন।
পরিশেষে উপরোক্ত ঘটনার সুষ্ট তদন্ত পূর্বক বিচার এর আওতায় এনে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের মর্জি জানান।