, রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনেই জাতির মুক্তি –মাওলানা আবদুল জব্বার এডভোকেট আবুল কালাম শাহীন বরিশাল রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি নির্বাচিত! ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের শুভেচ্ছা বরিশালে তাৎক্ষণিক রাস্তা মেরামতঃ প্রশংসা কুড়ালেন দুই সাংবাদিক বিএনপির রাজনীতি: আদর্শ নয়, এখন পীরতন্ত্রই বাস্তবতা চাঁদার টাকায় পড়ালেখা, এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত!— হতবাক এলাকাবাসী এতিম ভাতিজিদের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ছোট চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ইমপিরিয়াল হাসপাতালের সামনে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ এক নারী, এখনো উদ্ধার সম্ভব হয়নি চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ও ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন! বরিশালে চাঁদা দাবির অভিযোগে অভিযুক্ত নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা! রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে বানারীপাড়া -উজিরপুর বিএনপির আনন্দ ও মিষ্টি বিতরণে তোলপাড়
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

উজিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা নাসির আহমেদ রনির বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল ও দালালির অভিযোগে তোলপাড়।

  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৫৮ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।।উজিরপুর ও বরিশাল জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন আওয়ামী লীগ নেতা, সাংবাদিক ও উকিল পরিচয়ধারী নাসির আহমেদ রনি। তার বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠছে—সরকারি জমি দখল, দালালি, টেন্ডার জালিয়াতি, এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের মতো ঘটনা ঘিরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একসময়ের হকার রনি এখন কোটিপতি। বরিশাল নগরীর সিএমবি রোডের কাজিপাড়া ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন তিনি। পাশাপাশি, উজিরপুরের ইসলাদি ব্রিজের ঢালে সরকারি জমি দখল করে নির্মাণ করেছেন একাধিক পাকা স্থাপনা।

বিশেষ করে, বরিশালে একটি পত্রিকা অফিস নির্মাণের নামে ডিসিআর জমি বরাদ্দ নিয়ে পরে সেটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকৃতপক্ষে এটি কোনো মিডিয়া হাউজ প্রকল্প নয়, বরং সরকারি সম্পত্তি দখলের একটি পরিকল্পিত কৌশল।

স্থানীয়রা আরও জানান, রনি দীর্ঘদিন ধরে ডিসিআর জমি নিয়ে নানা রকম ‘ম্যাজিক’ চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক পরিচয়কে পুঁজি করে ভূমি অফিস, পৌরসভা ও অন্যান্য দপ্তরকে প্রভাবিত করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করছেন তিনি।

এছাড়াও, বিভিন্ন দপ্তরে দালালি করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরকারি প্রকল্প, ঠিকাদারি, ট্রেড লাইসেন্স জালিয়াতি—সবখানেই রনির নাম ঘুরেফিরে আসে। অনেক ব্যবসায়ীর মতে, উজিরপুরে এখন রনিকে বাদ দিয়ে কোনো কাজই সম্ভব নয়।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেও তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা মনে করছেন, রনির মতো ব্যক্তিদের কারণে দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “ডিসিআর জমি নিয়ে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের জোর দাবি, এসব বিষয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে সরকারি সম্পদ দখলের সাহস না পায়।

কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনেই জাতির মুক্তি –মাওলানা আবদুল জব্বার

উজিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা নাসির আহমেদ রনির বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল ও দালালির অভিযোগে তোলপাড়।

প্রকাশের সময় : ০১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।।উজিরপুর ও বরিশাল জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন আওয়ামী লীগ নেতা, সাংবাদিক ও উকিল পরিচয়ধারী নাসির আহমেদ রনি। তার বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠছে—সরকারি জমি দখল, দালালি, টেন্ডার জালিয়াতি, এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের মতো ঘটনা ঘিরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একসময়ের হকার রনি এখন কোটিপতি। বরিশাল নগরীর সিএমবি রোডের কাজিপাড়া ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন তিনি। পাশাপাশি, উজিরপুরের ইসলাদি ব্রিজের ঢালে সরকারি জমি দখল করে নির্মাণ করেছেন একাধিক পাকা স্থাপনা।

বিশেষ করে, বরিশালে একটি পত্রিকা অফিস নির্মাণের নামে ডিসিআর জমি বরাদ্দ নিয়ে পরে সেটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকৃতপক্ষে এটি কোনো মিডিয়া হাউজ প্রকল্প নয়, বরং সরকারি সম্পত্তি দখলের একটি পরিকল্পিত কৌশল।

স্থানীয়রা আরও জানান, রনি দীর্ঘদিন ধরে ডিসিআর জমি নিয়ে নানা রকম ‘ম্যাজিক’ চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক পরিচয়কে পুঁজি করে ভূমি অফিস, পৌরসভা ও অন্যান্য দপ্তরকে প্রভাবিত করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করছেন তিনি।

এছাড়াও, বিভিন্ন দপ্তরে দালালি করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরকারি প্রকল্প, ঠিকাদারি, ট্রেড লাইসেন্স জালিয়াতি—সবখানেই রনির নাম ঘুরেফিরে আসে। অনেক ব্যবসায়ীর মতে, উজিরপুরে এখন রনিকে বাদ দিয়ে কোনো কাজই সম্ভব নয়।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেও তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা মনে করছেন, রনির মতো ব্যক্তিদের কারণে দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “ডিসিআর জমি নিয়ে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের জোর দাবি, এসব বিষয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে সরকারি সম্পদ দখলের সাহস না পায়।