, রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনেই জাতির মুক্তি –মাওলানা আবদুল জব্বার এডভোকেট আবুল কালাম শাহীন বরিশাল রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি নির্বাচিত! ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের শুভেচ্ছা বরিশালে তাৎক্ষণিক রাস্তা মেরামতঃ প্রশংসা কুড়ালেন দুই সাংবাদিক বিএনপির রাজনীতি: আদর্শ নয়, এখন পীরতন্ত্রই বাস্তবতা চাঁদার টাকায় পড়ালেখা, এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত!— হতবাক এলাকাবাসী এতিম ভাতিজিদের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ছোট চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ইমপিরিয়াল হাসপাতালের সামনে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ এক নারী, এখনো উদ্ধার সম্ভব হয়নি চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ও ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন! বরিশালে চাঁদা দাবির অভিযোগে অভিযুক্ত নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা! রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে বানারীপাড়া -উজিরপুর বিএনপির আনন্দ ও মিষ্টি বিতরণে তোলপাড়
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

বাকেরগঞ্জে যেখানে অপরাধ সেখানেই কুদ্দুস

  • প্রকাশের সময় : ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • ১৭১ পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তালিকায় প্রতারক, নারী ও শিশু নির্যাতন, অস্ত্র আইন, চাঁদা দাবি, চুরি, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ভাঙচুর ও লুটপাট, বিশেষ ক্ষমতা আইনে সহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত বাকেরগঞ্জ উপজেলার হানুয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে আ. কুদ্দুস মিয়া (৫৫)। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী কুদ্দুস ঢাকা তেজগাঁও ও বাকেরগঞ্জ থানায় ডজন প্লাস জেনারেল রেজিস্ট্রার (জি.আর) মামলার আসামি এবং আদালতে দায়েরকৃত একাধিক কমপ্লেইন্ট রেজিস্ট্রার (সি.আর) মামলায়ও অভিযুক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। জীবনের সিংহ ভাগ সময় হামলা-মামলা সহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমের কারণে বাকেরগঞ্জের অধিকাংশ জনমনে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে কুদ্দুস। সম্প্রতি তার পুত্র রনি অবৈধভাবে সরকারি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কাটতে গিয়ে হয়েছেন কবাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারেক এর দায়েরকৃত মামলার আসামি।

প্রিভিয়াস কনভিকশন অ্যান্ড প্রিভিয়াস রেকর্ড (পিসিপিআর) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগের মধ্যে ১৪টি জিআর মামলার আসামি হয়েছেন আ. কুদ্দুস মিয়া।এরমধ্যে ২০২২ সালের ১০ মে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানায় দায়েরকৃত ১৪ নং মামলার আসামি। বাকি ১৩টি মামলা আসামি হয়েছেন বরিশাল বাকেরগঞ্জ থানায়। যেমন- ২০০৮ সালের ৪ মার্চ ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এজাহার বা এফআইআর) ভুক্ত ৫ নং মামলার আসামি। একইভাবে ২০১২ সালের ৫ অক্টোবর ১১(গ)/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ আইনে দায়েরকৃত ৭নং এফআইআর ভুক্ত মামলার আসামি। ২০১৩ সালের ৩ ডিসেম্বর ৫নং এজাহারভুক্ত আসামি এবং একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর ২৪ নং মামলার আসামি। ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত ২৩ নং মামলার আসামি। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ৪ নং এজাহারভুক্ত আসামি। ২০২২ সালের ২১ মার্চ দায়েরকৃত ১৬ নং মামলার আসামি। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক তিনটি মামলায় আসামি আ. কুদ্দুস মিয়া। যার মামলা নং ৬,৭ ও ৮। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কবাই ইউনিয়নের পেয়ারপুর কমপ্লেক্সে এবং শিয়ালঘুনি চন্দ্রবিন্দু এগ্রো ফার্মা নামক প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে ভাঙচুর করে লুটপাট করেছে ৩০ লাখ টাকা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর কুদ্দুস মিয়া কে প্রধান আসামি করে ১৩ জন নামধারী সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-২) দায়ের হয়। ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর বাকেরগঞ্জের হানুয়া গ্রামে এ.এইচ.ব্রিকস নামক ইটভাটা অফিসের প্রবেশ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নগদ টাকাসহ প্রায় ১১ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কুদ্দুস মিয়া কে প্রধান আসামি করে ৯ জন নামধারী সহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-৯) দায়ের হয়। ২০২৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এ.এইচ.ব্রিকস নামক ইটভাটায় প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট করে ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কুদ্দুস মিয়া কে প্রধান আসামি করে ৯ জন নামধারী সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-৩২) দায়ের হয়। ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ বাকেরগঞ্জ কবাই ইউনিয়নের পশ্চিম হানুয়া গ্রামে কুদ্দুস মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন হানুয়া চরের খাস (সরকারি) জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে নেয় ১৭/১৮ জন। এমন খবর পেয়ে কবাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের আসামি করে পরদিন ১৮ মার্চ বাকেরগঞ্জ থানায় নামধারি ৯ জন এবং অজ্ঞাতনাম ৮/৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা (২৪) দায়ের করেন। এই মামলার ৫নং আসামি হলেন কুদ্দুস মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম ওরফে রনি মিয়া (৩৮)। মামলায় জেল হাজতেও যেতে হয়েছে রনিকে।

নানা অপরাধের অভিযোগে একাধিকবার জেলহাজতে গিয়েছিল কুদ্দুস মিয়া। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা সিংহভাগই চলমান। জেল থেকে বেড়িয়ে আবারো যুক্ত হয় নানা অপকর্মে। এলাকাবাসির কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন তিনি। দায়েরকৃত মামলার কয়েকজন বাদীর সাথে আলাপ করলে তথ্য দিতে রাজি নয় তারা। কারণ, যে কোন সময় তার/তাদের বিরুদ্ধে ভয়ঙকর হয়ে উঠতে পারে কুদ্দুস। এমনকি তার বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি নয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কুদ্দুস মিয়া নানা অপরাধে যেমন হয়েছেন মামলার আসামি, ঠিক তেমনি তিনিও নানা ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় দুই ডজন মামলার বাদী হয়েছেন। এক কথায় বলা যায়- থানা ও আদালতে মামলা দেয়া নেয়া কুদ্দুসের নেশা পেশায় রুপান্তিত হয়েছে। জেলহাজত তার বেড়াতে যাওয়ার স্থানের ন্যায় পরিণত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো বিষয়ে কেউ অবস্থান নিলেই সেই ব্যক্তিকে হতে হয় মামলার আসামি। এলাকায় অনেকেই তাকে মামলাবাজ কুদ্দুস বলে ডাকে। আদালতেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক সি.আর মামলা। পারিবারিক জীবনেও রয়েছে এলোমেলাে পরিস্থিততে।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, আ. কুদ্দুস মিয়া একাধিক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। বাকেরগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরো কয়েকটি মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে মুঠোফোনে আ. কুদ্দুস মিয়া বলেন, বেশি ভাগ মামলা আদালত থেকেই তিনি বেকসুর খালাস হয়েছেন। আর যা চলমান আছে তা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে।

কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনেই জাতির মুক্তি –মাওলানা আবদুল জব্বার

বাকেরগঞ্জে যেখানে অপরাধ সেখানেই কুদ্দুস

প্রকাশের সময় : ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তালিকায় প্রতারক, নারী ও শিশু নির্যাতন, অস্ত্র আইন, চাঁদা দাবি, চুরি, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ভাঙচুর ও লুটপাট, বিশেষ ক্ষমতা আইনে সহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত বাকেরগঞ্জ উপজেলার হানুয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে আ. কুদ্দুস মিয়া (৫৫)। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী কুদ্দুস ঢাকা তেজগাঁও ও বাকেরগঞ্জ থানায় ডজন প্লাস জেনারেল রেজিস্ট্রার (জি.আর) মামলার আসামি এবং আদালতে দায়েরকৃত একাধিক কমপ্লেইন্ট রেজিস্ট্রার (সি.আর) মামলায়ও অভিযুক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। জীবনের সিংহ ভাগ সময় হামলা-মামলা সহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমের কারণে বাকেরগঞ্জের অধিকাংশ জনমনে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে কুদ্দুস। সম্প্রতি তার পুত্র রনি অবৈধভাবে সরকারি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কাটতে গিয়ে হয়েছেন কবাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারেক এর দায়েরকৃত মামলার আসামি।

প্রিভিয়াস কনভিকশন অ্যান্ড প্রিভিয়াস রেকর্ড (পিসিপিআর) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগের মধ্যে ১৪টি জিআর মামলার আসামি হয়েছেন আ. কুদ্দুস মিয়া।এরমধ্যে ২০২২ সালের ১০ মে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানায় দায়েরকৃত ১৪ নং মামলার আসামি। বাকি ১৩টি মামলা আসামি হয়েছেন বরিশাল বাকেরগঞ্জ থানায়। যেমন- ২০০৮ সালের ৪ মার্চ ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এজাহার বা এফআইআর) ভুক্ত ৫ নং মামলার আসামি। একইভাবে ২০১২ সালের ৫ অক্টোবর ১১(গ)/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ আইনে দায়েরকৃত ৭নং এফআইআর ভুক্ত মামলার আসামি। ২০১৩ সালের ৩ ডিসেম্বর ৫নং এজাহারভুক্ত আসামি এবং একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর ২৪ নং মামলার আসামি। ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত ২৩ নং মামলার আসামি। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ৪ নং এজাহারভুক্ত আসামি। ২০২২ সালের ২১ মার্চ দায়েরকৃত ১৬ নং মামলার আসামি। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক তিনটি মামলায় আসামি আ. কুদ্দুস মিয়া। যার মামলা নং ৬,৭ ও ৮। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কবাই ইউনিয়নের পেয়ারপুর কমপ্লেক্সে এবং শিয়ালঘুনি চন্দ্রবিন্দু এগ্রো ফার্মা নামক প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে ভাঙচুর করে লুটপাট করেছে ৩০ লাখ টাকা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর কুদ্দুস মিয়া কে প্রধান আসামি করে ১৩ জন নামধারী সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-২) দায়ের হয়। ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর বাকেরগঞ্জের হানুয়া গ্রামে এ.এইচ.ব্রিকস নামক ইটভাটা অফিসের প্রবেশ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নগদ টাকাসহ প্রায় ১১ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কুদ্দুস মিয়া কে প্রধান আসামি করে ৯ জন নামধারী সহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-৯) দায়ের হয়। ২০২৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এ.এইচ.ব্রিকস নামক ইটভাটায় প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট করে ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কুদ্দুস মিয়া কে প্রধান আসামি করে ৯ জন নামধারী সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-৩২) দায়ের হয়। ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ বাকেরগঞ্জ কবাই ইউনিয়নের পশ্চিম হানুয়া গ্রামে কুদ্দুস মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন হানুয়া চরের খাস (সরকারি) জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে নেয় ১৭/১৮ জন। এমন খবর পেয়ে কবাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের আসামি করে পরদিন ১৮ মার্চ বাকেরগঞ্জ থানায় নামধারি ৯ জন এবং অজ্ঞাতনাম ৮/৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা (২৪) দায়ের করেন। এই মামলার ৫নং আসামি হলেন কুদ্দুস মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম ওরফে রনি মিয়া (৩৮)। মামলায় জেল হাজতেও যেতে হয়েছে রনিকে।

নানা অপরাধের অভিযোগে একাধিকবার জেলহাজতে গিয়েছিল কুদ্দুস মিয়া। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা সিংহভাগই চলমান। জেল থেকে বেড়িয়ে আবারো যুক্ত হয় নানা অপকর্মে। এলাকাবাসির কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন তিনি। দায়েরকৃত মামলার কয়েকজন বাদীর সাথে আলাপ করলে তথ্য দিতে রাজি নয় তারা। কারণ, যে কোন সময় তার/তাদের বিরুদ্ধে ভয়ঙকর হয়ে উঠতে পারে কুদ্দুস। এমনকি তার বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি নয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কুদ্দুস মিয়া নানা অপরাধে যেমন হয়েছেন মামলার আসামি, ঠিক তেমনি তিনিও নানা ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় দুই ডজন মামলার বাদী হয়েছেন। এক কথায় বলা যায়- থানা ও আদালতে মামলা দেয়া নেয়া কুদ্দুসের নেশা পেশায় রুপান্তিত হয়েছে। জেলহাজত তার বেড়াতে যাওয়ার স্থানের ন্যায় পরিণত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো বিষয়ে কেউ অবস্থান নিলেই সেই ব্যক্তিকে হতে হয় মামলার আসামি। এলাকায় অনেকেই তাকে মামলাবাজ কুদ্দুস বলে ডাকে। আদালতেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক সি.আর মামলা। পারিবারিক জীবনেও রয়েছে এলোমেলাে পরিস্থিততে।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, আ. কুদ্দুস মিয়া একাধিক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। বাকেরগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরো কয়েকটি মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে মুঠোফোনে আ. কুদ্দুস মিয়া বলেন, বেশি ভাগ মামলা আদালত থেকেই তিনি বেকসুর খালাস হয়েছেন। আর যা চলমান আছে তা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে।