নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশাল সদর উপজেলা টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন নতুনহাট খেয়াঘাটে ইজারা ছাড়াই টলার প্রতি নেয়া হচ্ছে আটশত টাকা থেকে এক হাজার টাকা।মসজিদের উন্নয়নের কথা বলে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
শহিদুল ইসলাম নামের এক তরমুজ ব্যবসায়ী জানান,আমি প্রতিবছর তরমুজ এবং ফুট পরিবহনের জন্য নতুনহাট ঘাট এই রুটে নিয়মিত চলাচল করে আসছি। এই ঘাটে টলার নোঙ্গর করলেই ৮০০ টাকা দিতে হয় মসজিদ কমিটিকে।
টাকা না দিলে টলার নোঙ্গর করতে বারণ করে মসজিদ কমিটির লোকজন । এবং এই টাকার কোন রিসিভ দেয়া হয় না বলে জানান এই ব্যবসায়ী। তিনি আরো জানান সদর উপজেলার লাহারহাট ঘাটে এক হাজার টাকা করে দিতে হয়।
গোপন তথ্যে জানা যায় দেলোয়ার মৃধা নামের এক ব্যক্তি টুঙ্গীবাড়ীয়া ইউনিয়নের নতুনহাট খেয়া ঘাট থেকে অবৈধ ঝাটকা ইলিশ ও চাপিলা মাছ ট্রলার ও ট্রাকযোগে পরিবহন করে বিভিন্ন শহরে।বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের বিশেষ অভিজানে বহুবার তার অবৈধ মাছ আটক করা হয়। কিন্তু তারপরেও থেমে নেই তার অবৈধ ঝাটকা ইলিশ ও চাপিলা মাছের ব্যবসা।
প্রতিবেদককে আরো জানান দেলোয়ার মৃধার বড় ভাই আনোয়ার মৃধা তিনি প্রতি টলার থেকে আটশত টাকা থেকে এক হাজার টাকা নেন।এ বিষয়ে আনোয়ার মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন।
আমি মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৪ লাখ টাকা খরচ করেছি। এজন্য মসজিদের নামে টাকা কালেকশন করি।
এবিষয়ে এলাকাবাসি জানান একে রাস্তা ছোট তার মধ্যে এই রাস্তায় বড় বড় ট্রাক ঢুকিয়ে রাস্তা ভেংগে যাচ্ছে তেমনি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলে ও অসুবিধার সৃষ্টি হয়।