বরিশাল অফিস।।চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী হাইকোর্ট দেশের সকল অবৈধ ইট ভাটা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। এতে করে চলতি মার্চে বরিশাল সদর উপজেলা প্রশাসন তালুকদার হাট সংলগ্ন দোলা ও চরকাউয়ার চরকরনজি গ্রামের ড্রাম চিমুনি ভাটায় অভিযান চালায়। অভিযাম চালিয়ে ড্রাম চিমুনি ভেঙে দেয় ও পাশাপাশি জরিমানা আদায় করেন। প্রশাসন অভিযানের ২ ঘন্টার মধ্যেই আবার ড্রাম চিমনি তৈরি করে দেদারসে কাঠ দিয়ে ইট পুড়ছে।
খোজ নিয়ে জানাযায় চরকরনজি গ্রামে আর এইচ বি ইট ভাটা চরকাউয়া ইউপি আলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ এর ইট ভাটা। ২০০৮ সনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে লোকালয়ে ড্রাম চিমনি বিশিষ্ট আর এইচ বি ইট ভাটা তৈরি করে কাঠ দিয়ে ইট পুড়ে পরিবেশ দুষন করছে। সম্প্রতি ঐ ইট ভাটায় অভিযান চালায় প্রশাসন। পাশাপাশি ১৫ দিনের মধ্যে ইট ভাটা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু হারুন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আবারও কাঠ দিয়ে ইট পুড়ছে।
অপরদিকে দোলা ইট ভাটায় কাঠ দিয়ে ইট পুড়ছে। অভিযোগ রয়েছে প্রতি বছর পরিবেশ অধিদপ্তর অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযান চালানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আবার ইট ভাটার কার্যক্রম শুরু করেন। নাম প্রকাশ না শর্তে একাধিক সূত্র জানান প্রতি বছর ইট পোড়ানো মৌসুমে অবৈধ ইট ভাটার মালিক পক্ষ মোটা অংকের অর্থ প্রদান করে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অসাধু কর্মচারীদেরকে। এভাবেই প্রতি মৌসুমে অবৈধ ইট ভাটার মালিক পক্ষ ম্যানেজ করে ভাটায় দেদারসে পুড়ছে ইট।
এ বেপারে বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হাসান জানান ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান করা হয়েছে। তবে পুনরায় চালু করছে এমন প্রশ্নের বিষয় তিনি চ্যালেঞ্জ করে জানান ইট ভাটা বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ টি ইট ভাটা রয়েছে। যার অধিকাংশ ইট ভাটার নেই ছাড়পত্র ও লাইসেন্স।বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুজ্জামান জানান অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।