, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বরিশালে শিক্ষার নামে “দুর্নীতির ইঞ্জিনিয়ারিং”! শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ! ফুলের তোড়া থেকে শুরু, টিভি-ল্যাপটপে শেষ – নুরুল ইসলাম আবারো জিলা স্কুলের হিরো! এতিমদের সাথে ‘বরিশাল বাণী’ পরিবারের নৈশভোজ বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল সদর হাসপাতাল! “চিকিৎসা নাই, সিকিউরিটি নাই, শুধু চোরের ডাক্তারখানা!” কাশীপুরে বাবার নামে ছেলের ‘প্রেমকাহিনি’তে রক্ত গরম!ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা, টাকা উধাও! বরিশালে “ধর্ষণ-ভিডিও ইন্ডাস্ট্রি”র নতুন নায়িকা মীম! বরিশালে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত নলছিটিতে প্রেসক্লাব ভবনে চাঁদাবাজদের দাপট! বরিশাল সিটিতে দাওয়াতে ইসলামীর বৃহত্তর জশ‌নে জুলুস 
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

বরিশাল জেলার অধিকাংশ ইটভাটা অবৈধ, নেই ছাড়পত্র ও লাইসেন্স। ঢিমেঢালা অভিযান প্রশাসনের, দেদারসে কাঠ দিয়ে পুড়ছে ইট।

  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ২৩৫ পড়া হয়েছে

বরিশাল অফিস।। ঢাক ঢোল বাজিয়ে চলতি ইট পোড়ানোর মৌসুমে বরিশালের সদর উপজেলা সহ জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, বাকেরগঞ্জের কয়েকটি স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ড্রাম চিমনি বিশিষ্ট ইট ভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর । সেই সাথে জরিমানাও আদায় করে । একই সাথে ড্রাম চিমনি বিশিষ্ট ইট ভাটা চালানো হবেনা মর্মে মুচলেকা আদায় করেন পরিবেশ অধিদপ্তর। । তবে ঐ অভিযান চালানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঐ সব ইট ভাটা আবারও চালু করে কাঠ দিয়ে দেদারসে পুড়ছে ইট। সচেতন নাগরিক সমাজ জানিয়েছেন লোক দেখানো অভিযান ছাড়া আর কিছু নয় পরিবেশ অধিদপ্তরের। প্রতি বছরই ইট পোড়ানো মৌসুমে দুই একটা অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এমনকি অভিযানে অবৈধ ইট ভাটা ভেঙে দেয়।

খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় পরিবেশ অধিদপ্তর ভয় দেখানো অভিযান চালান। এ অভিযান হয় প্রতি বছর। এরপর ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইট ভাটার মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরে দেখা করে রফাদফা করে। বরিশাল পরিবেশবীদ শুভংকর চক্রবর্তী জানান বড় ধরনের অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে প্রতিবছর অবৈধ ইট ভাটাআয় ইট পোড়ানো হয়।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)। বলা আছে পরিবেশ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা স্থাপন ও পোড়তে পারবে না।এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ কিলোমিটার মধ্যে কোন ইট ভাটা স্থাপন করতে পারবে না। আইনে ইট ভাটা স্থাপনে বিভিন্ন নিয়ম জুড়ে দিয়েছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায় বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। আর ঐ সকল ইট ভাটা স্থাপন করা হয়েছে আইন অমান্য করে। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায় জেলায় ২০০ এর বেশি ইট রয়েছে। আর ঐ সকল ইট ভাটার নেই ছাড়পত্র ও লাইসেন্স। এছাড়াও জেলায় প্রায় ১০০ শত রয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ড্রাম চিমনি বিশিষ্ট ইট ভাটা। খোঁজ নিয়ে জানাযায় প্রতি ইট ভাটায় মৌসুমে ৫০ হাজার মন এর বেশি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হয়। এতে করে জেলার ১০০ কোটি মন কাঠ পোড়ানো হয়। ফলে বায়ু দুষন চরম আকার ধারন করছে বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।

এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহাবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী সমন্বয়ে বেঞ্চ চার সপ্তাহের মধ্যে দেশের সকল অবৈধ ইট ভাটা গুড়িয়ে দিতে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের নির্দেশ প্রদান করেন।

বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুদ্দিন জানান অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ দেলোয়ার হোসেন সংশ্লিষ্ট বিষয় কোন সদুত্তর দেয়নি।
উল্লেখ্য বরিশাল সদর উপজেলা সহ জেলার যে সকল অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রত্যেকটি আবারও চলছে।

জনপ্রিয়

বরিশালে শিক্ষার নামে “দুর্নীতির ইঞ্জিনিয়ারিং”! শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ!

বরিশাল জেলার অধিকাংশ ইটভাটা অবৈধ, নেই ছাড়পত্র ও লাইসেন্স। ঢিমেঢালা অভিযান প্রশাসনের, দেদারসে কাঠ দিয়ে পুড়ছে ইট।

প্রকাশের সময় : ০৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

বরিশাল অফিস।। ঢাক ঢোল বাজিয়ে চলতি ইট পোড়ানোর মৌসুমে বরিশালের সদর উপজেলা সহ জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, বাকেরগঞ্জের কয়েকটি স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ড্রাম চিমনি বিশিষ্ট ইট ভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর । সেই সাথে জরিমানাও আদায় করে । একই সাথে ড্রাম চিমনি বিশিষ্ট ইট ভাটা চালানো হবেনা মর্মে মুচলেকা আদায় করেন পরিবেশ অধিদপ্তর। । তবে ঐ অভিযান চালানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঐ সব ইট ভাটা আবারও চালু করে কাঠ দিয়ে দেদারসে পুড়ছে ইট। সচেতন নাগরিক সমাজ জানিয়েছেন লোক দেখানো অভিযান ছাড়া আর কিছু নয় পরিবেশ অধিদপ্তরের। প্রতি বছরই ইট পোড়ানো মৌসুমে দুই একটা অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এমনকি অভিযানে অবৈধ ইট ভাটা ভেঙে দেয়।

খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় পরিবেশ অধিদপ্তর ভয় দেখানো অভিযান চালান। এ অভিযান হয় প্রতি বছর। এরপর ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইট ভাটার মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরে দেখা করে রফাদফা করে। বরিশাল পরিবেশবীদ শুভংকর চক্রবর্তী জানান বড় ধরনের অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে প্রতিবছর অবৈধ ইট ভাটাআয় ইট পোড়ানো হয়।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)। বলা আছে পরিবেশ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা স্থাপন ও পোড়তে পারবে না।এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ কিলোমিটার মধ্যে কোন ইট ভাটা স্থাপন করতে পারবে না। আইনে ইট ভাটা স্থাপনে বিভিন্ন নিয়ম জুড়ে দিয়েছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায় বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। আর ঐ সকল ইট ভাটা স্থাপন করা হয়েছে আইন অমান্য করে। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায় জেলায় ২০০ এর বেশি ইট রয়েছে। আর ঐ সকল ইট ভাটার নেই ছাড়পত্র ও লাইসেন্স। এছাড়াও জেলায় প্রায় ১০০ শত রয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ড্রাম চিমনি বিশিষ্ট ইট ভাটা। খোঁজ নিয়ে জানাযায় প্রতি ইট ভাটায় মৌসুমে ৫০ হাজার মন এর বেশি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হয়। এতে করে জেলার ১০০ কোটি মন কাঠ পোড়ানো হয়। ফলে বায়ু দুষন চরম আকার ধারন করছে বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।

এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহাবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী সমন্বয়ে বেঞ্চ চার সপ্তাহের মধ্যে দেশের সকল অবৈধ ইট ভাটা গুড়িয়ে দিতে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের নির্দেশ প্রদান করেন।

বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুদ্দিন জানান অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ দেলোয়ার হোসেন সংশ্লিষ্ট বিষয় কোন সদুত্তর দেয়নি।
উল্লেখ্য বরিশাল সদর উপজেলা সহ জেলার যে সকল অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রত্যেকটি আবারও চলছে।